২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিশ্বের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী

সুকুমা

-

আজ তোমরা জানবে সুকুমা সম্পর্কে । সুকুমা সমাজ সাধারণত মাতৃতান্ত্রিক। এটা একটা সাধারণ ব্যাপার যে, পরিবারের বেশির ভাগ কাজ করে নারীরা। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্

সুকুমা মানে ‘উত্তর’ এবং শব্দটি ‘উত্তরের মানুষ’ অর্থে উল্লেখ করা হয়। সুকুমারা নিজেদের বহুবচনে উল্লেখ করে বাসুকুমা এবং একবচনে নসুকুমা নামে।
সুকুমারা তানজানিয়ার সবচেয়ে বড় কৃষ্ণাঙ্গ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। জনসংখ্যা ৮০ লাখের বেশি; দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৬ শতাংশ।
সুকুমারা কথা বলে সুকুমা ভাষায়। এটি বান্টু ভাষার অন্তর্ভুক্ত। সোয়াহিলি তানজানিয়ার জাতীয় ভাষা। অনেক সুকুমা এ ভাষা জানে এবং চর্চা করে।
বেশির ভাগ সুকুমা ভবিষ্যৎ কথন, জাদু ও ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করে। কিছু বিশ্বাসী খ্রিষ্ট ধর্মে।
সুকুমাদের বসবাস তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাংশে ভিক্টোরিয়া হ্রদের দক্ষিণ উপকূল এবং এমওয়ানজা ও শিনিয়াঙ্গা অঞ্চলে। এদের আবাসভূমির উত্তর এলাকা বিখ্যাত সেরেংগেতি সমভূমির অন্তর্ভুক্ত।
সুকুমা সমাজ সাধারণত মাতৃতান্ত্রিক। এটা একটা সাধারণ ব্যাপার যে, পরিবারের বেশির ভাগ কাজ করে নারীরা।
সুকুমারা গরু, ছাগল ইত্যাদি চরায় এবং ফসল ফলায়। এরা তুলা, কাসাভা, ধান ও চীনাবাদাম উৎপন্ন করে। তুলা এদের প্রধান অর্থকরী ফসল।
এরা বেশ বন্ধুবৎসল। অনেকে নাচ-গান পছন্দ করে।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement