দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
তিপ্পান্ন.
আবার গাড়ি চালাল রেজা। ‘এমন করে বলল, যেন মিস গিমলার এখনও বেঁচে আছেন।’
‘কুনারের কাছে বেঁচেই আছেন,’ আলিশা বলল। ‘বেচারা। আমাদের দেখতে পারে না কুনার। তারপরেও লোকটার জন্যে কেন জানি আমার মায়া হয়।’
‘নিশ্চয় ওর ধারণা ভূত হয়ে গিয়েও ওর ওপর কড়া নজর রাখছেন মিস গিমলার,’ সুজা বলল।
বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামাল রেজা। গাড়ি থেকে নামল তিনজনে। সদর দরজা খুলে গেল। গলা লম্বা করে বৃষ্টিধোয়া অন্ধকারে দেখার চেষ্টা করল মাইকেল। চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কে ওখানে?’
‘মাইক, আমি, আলিশা!’
একটানে আলিশার হাত ধরে ভিতরে নিয়ে গেল মাইকেল। ‘আলিশা! কোথায় গিয়েছিলে? তোমার জন্যে দুশ্চিন্তায় আমরা অস্থির। কেয়ারটেকারের কটেজ থেকে পুলিশকে ফোন করেছি। ওরা কিছু বলতে পারল না। কী হয়েছিল তোমার?’
দ্রুত কথা বলতে শুরু করল আলিশা। ভাষাটার এক বর্ণ বুঝতে পারল না রেজা-সুজা। অনেকক্ষণ বলে অবশেষে থামল আলিশা। দুই গোয়েন্দার দিকে এগিয়ে এলো মাইকেল। নিরস কণ্ঠে বলল, ‘আলিশা বলছে তোমরা নাকি তার প্রাণ বাঁচিয়েছ। অনেক ধন্যবাদ।’
‘তুমিও আমার প্রাণ বাঁচিয়েছিলে,’ সুজা বলল।
‘তোমরা এখন যাও!’
‘এটা কী ধরনের ব্যবহার, মাইক?’ আলিশা বলল। ‘ওরা আমাকে বাঁচিয়েছে। ঝড়ের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। ওদের সঙ্গে তোমার এ রকম ব্যবহার করা ঠিক হচ্ছে না।’
‘আলিশা!’ সিঁড়ির কাছ থেকে কথা শোনা গেল। বলিষ্ঠ একজন মানুষ লাফিয়ে নেমে এলেন সিঁড়ি বেয়ে। আলিশাকে জড়িয়ে ধরলেন। আবার বিদেশী ভাষায় কথার ফুলঝুরি। (শেষ)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা