দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
একান্ন.
গাড়ি নিয়ে প্রায় হামাগুড়ি দেয়ার গতিতে এগোতে থাকল ওরা। মনে হচ্ছে যুগ যুগ সময় পার হয়ে যাচ্ছে। রাস্তার ওপর আরো গাছ পড়েছে। তবে রেজাকে আটকাতে পারছে না। বেরোনোর জায়গা বের করে ফেলছে রেজা। এক জায়গায় একটা বিদ্যুতের থাম ভেঙে পড়েছে। তারগুলো ছড়িয়ে পড়ে আছে রাস্তার ওপর। ছড়ছড় করে বিদ্যুতের স্ফুলিঙ্গ ছড়াচ্ছে ছেঁড়া মাথাগুলো। ধোঁয়া উঠছে। বাতাসে বিদ্যুতের তার পোড়া তীব্র গন্ধ।
নেডদের বাড়ির পাশ কাটিয়ে এলো ওরা। ছোট ব্রিজটার দিকে এগোল। শঙ্কিত হলো সুজা। ভার সইতে না পেরে যদি ভেঙে পড়ে?
ভাঙল না ব্রিজটা।
গিমলার ম্যানশনের বিশ ফুট উঁচু লোহার গেটটা বন্ধ দেখা গেল। তাকিয়ে আছে সুজা। ‘তালা দেয়া থাকলে ঢোকা কঠিন হয়ে যাবে।’
গাড়ি থেকে নেমে প্রবল বাতাসের বিরুদ্ধে প্রায় লড়াই করে গেটের দিকে এগোল সে। গেটে তালা নেই, তবে ঠেলে খুলতে ঘাম ছুটে গেল। গাড়ি নিয়ে ঢুকে গেল রেজা। গেটটা আবার লাগিয়ে দিলো সুজা। ফিরে এসে গাড়িতে উঠে হাঁপ ছাড়ল। ‘যাক, আসতে তাহলে পারলাম শেষ পর্যন্ত!’
আবারো ইঞ্চি ইঞ্চি করে সামনে এগোনো। অবশেষে বৃষ্টিঢাকা আকাশের পটভূমিতে অস্পষ্টভাবে চোখে পড়ল বিশাল প্রাসাদের অবয়ব। বিশাল বাড়িটা তৈরি হয়েছে সাগর ঘেঁষে থাকা একটা পাহাড়ের চূড়ায়। পাহাড়ের একটা দিকে পাথরের খাড়া দেয়াল, সরাসরি নেমে গেছে সাগরের পানিতে। সারাক্ষণ উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ে ভাঙে ওখানে। ওরা যেখানে রয়েছে, সাগর চোখে পড়ে না।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা