২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ছত্রিশ.

‘রাশানরা চায় বাবা ওদের হয়ে কাজ করুক,’ আলিশা বলল। ‘বহুভাবে চেষ্টা করে দেখেছে ওরা। অনুরোধ করেছে। উন্নত জীবন দিতে চেয়েছে। হুমকিও দিয়েছে। বাবাকে রাজি করাতে পারেনি। বাবা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এ দেশে আসার আগে যে সুবিধেটা কোনোকালেই ভোগ করতে পারেনি।’
‘কত দিন আগে এসেছ তোমরা?’ শীলা জিজ্ঞেস করল।
‘এই কয়েক মাস আগে। বাবা সব সময়ই স্বৈরাচারীদের ঘৃণা করে। সে-কারণে রেজিস্ট্যান্স পার্টিতে যোগ দিয়ে তাদের নেতাও হয়েছিল। আর তার জন্য যে খেসারত দিতে হয়েছে, তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। তার মেয়ে হওয়ায় একটা দিনের তরে শান্তি পাইনি আমি। স্থায়ী কোনো বাসস্থান পাইনি। অনেক সময় রাতদুপুরে উঠে আমাদের ঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে গুপ্ত পুলিশের ভয়ে।
‘মাঝে মাঝে পালাতে দেরি হয়ে যেত। বাবা আর আমার চাচা মাসকারো স্ট্র্যানস্কিকে ধরে নিয়ে যেত ওরা। জেলে আটকে রেখে নির্যাতন করত। আমার মা আর মাইকেলের মা-বাবা জেলখানায় মারা গেছে। তবে আমার বাবা আর চাচাকে কখনো বেশিদিন আটকে রাখতে পারেনি ওরা। প্রতিবারেই পালিয়েছে দু’জনে।’
জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার শুরু করল আলিশা, ‘কয়েক মাস আগে একটা ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে গেল, পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশে ঠাঁই হবে না আমাদের। টিকতে পারব না। বাবা এখন ওখানে ভীষণভাবে পরিচিত একটা নাম। তা ছাড়া শেষবার ধরা পড়ার পর নির্যাতন করে করে তার একটা পা খোঁড়া করে দিয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement