২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

পঁয়ত্রিশ.

‘আপাতত আছি আর কি,’ আলিশার কণ্ঠে বিষণœতার ছোঁয়া। ‘সব সময়ই ছুটে বেড়াতে হয় আমাদের। কোথাও সুস্থির হয়ে বসতে পারি না। বেপোর্ট জায়গাটা আমার খুব ভালো লাগছে। থাকতে পারলে খুশি হতাম। কিন্তু উপায় নেই। অনেকের কাছেই আমাদের ভবঘুরে জীবনটা হয়তো খুব আকর্ষণীয় মনে হবে, আসলে মোটেও তা নয়। জেলে ঢোকার ভয়ে সারাক্ষণ এজেন্টদের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানো...আমেরিকার মতো স্বাধীন দেশে এসেও আমাদের নিস্তার নেই...’
বাধা দিলো মাইকেল, ‘আলিশা, আমাদের কথা ওদের ভালো লাগবে না। চলো, দেরি হয়ে যাচ্ছে। তোমার বাবা...’
‘না না, আমাদের খারাপ লাগছে না,’ নেডের আম্মা বললেন। ‘তুমি বলো, আলিশা।’
আবার প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিলো মাইকেল। সোফায় আধশোয়া হয়ে ছাতের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে রইল এক দৃষ্টিতে।

‘আমরা হুকুল,’ আলিশা বলল।
‘কী?’ বুঝতে পারল না শীলা।
হাসল আলিশা। ‘অবাক হবে, জানতাম। পূর্ব ইউরোপের বাইরের অনেকেই আমাদের কথা শোনেনি। কার্পেথিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে হুকুলদের বাস। আমাদের অনেকেই এখন পোল্যান্ড, চেকোশ্লোভাকিয়া আর রোমানিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে নিজেদের সংস্কৃতি ছাড়েনি কেউ, আঁকড়ে ধরে আছে। আমার বাবা রুবাক স্ট্র্যানস্কি একজন মস্তবড় বিজ্ঞানী, সারা পৃথিবীর লোকে বলে। কী বলো, মাইকেল?’
আস্তে মাথা ঝাঁকাল মাইকেল। কিন্তু ছাতের দিক থেকে মুখ নামাল না। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement