১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

বারো.
সুজা জিজ্ঞেস করল, ‘বাবা, তোমার টায়ার্ড লাগছে?’
সামনে ঝুঁকে দুই ছেলের কাছাকাছি এগিয়ে বসে হাসলেন মুরাদ সাহেব। ‘নাহ্। প্লেনে ঘুমিয়ে নিয়েছি। এত ভালো চালায় রেড, মনেই হয়নি প্লেনে বসে ছিলাম।’
বাবা কিছুদিন বাড়িতে থাকবে, নাকি শীঘ্রি আবার কোথাও বেরোবে, জানতে চাইল সুজা।
চিন্তিত ভঙ্গিতে মুরাদ সাহেব জবাব দিলেন, ‘বলতে পারছি না। আলাস্কায় আমার কাজ মোটামুটি শেষ। এফবিআইকে সূত্র ধরিয়ে দিয়ে এসেছি, বাকিটা সম্ভবত শেষ করতে পারবে ওরা। না পারলে...’
‘কাজটা কী, বাবা? বলা যায়?’ গাড়ি চালাতে চালাতে জিজ্ঞেস করল রেজা।
‘যায়। তবে সাবধান, একটা বর্ণও যেন অন্য কারও কানে না যায়। ভয়ানক ব্যাপার। পত্রিকার কানে গেলে মানুষকে আতঙ্কিত করে ছেড়ে দেবে।’
‘এতটা সিরিয়াস?’ সুজার প্রশ্ন।
‘হ্যাঁ। আলাস্কান পাইপলাইন ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে একটা অপরাধী চক্র।’
‘তেলের পাইপ!’ চমকে গেছে রেজা-সুজা।
‘হ্যাঁ। তাদের নেতা ক্রুগো দিনেমার নামে এক বিদেশী। লোকটাকে আমি কখনো দেখিনি। পুলিশের ফাইলেও তার আসল চেহারার ছবি নেই। যা আছে, ছদ্মবেশী ছবি। লোকটা ছদ্মবেশ ধারণে মহা ওস্তাদ। কয়েক সপ্তাহ আগে একটা গুজব শুনে ইউএস ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস। অন্য দেশের সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো ধরনের গোপন অস্ত্রের সাহায্যে আলাস্কান পাইপলাইন ধ্বংস করে দেয়ার প্লান করেছে ক্রুগো। কোন দেশ তাকে সহযোগিতা করছে, জানতে পারিনি। তবে ক্রুগোকে আলাস্কায় দেখা গেছে, এটা প্রমাণ করে দিয়েছি।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement