২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটচল্লিশ.
‘একটা ব্যাপার পরিষ্কার, যেটার জন্য হানা দিয়েছিল লোকগুলো সেটা পায়নি,’ রেজা বলল। ‘পেয়ে গেলে আর থাকত না, আমরা এসে পেতাম না।’
ঠিক এই সময় অফিসের দেয়াল আলমারির ভেতরে থ্যাপ থ্যাপ শব্দ শোনা গেল। লাফ দিয়ে গিয়ে সামনে দাঁড়াল রেজা। একটানে খুলে ফেলল আলমারির দরজা। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আলমারিতে পড়ে আছে ক্যাথি। মুখে কাপড় গোঁজা। ওদের সাড়া পেয়ে আলমারির গায়ে লাথি মারতে আরম্ভ করেছিল।
প্রথমে ওর বাঁধন খুলে দিলো দুই গোয়েন্দা। তারপর ধরে ধরে নিয়ে এসে লিভিং রুমের কাউচে বসিয়ে দিলো। এক গ্লাস পানি এনে দিলো সুজা।
কয়েকটা মুহূর্ত চোখ বুজে বসে থেকে বিশ্রাম নিলো ক্যাথি। তারপর চোখ মেলে একে একে তাকাল রেজা-সুজার উদ্বিগ্ন মুখের দিকে। জোরে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ‘জীবনে কোনো দিন আর ওই আলমারি থেকে বেরোতে পারব ভাবিনি।’
‘কথা বলতে পারবেন এখন, নাকি আরেকটু বিশ্রাম নিয়ে নেবেন?’ সুজা জিজ্ঞেস করল।
‘না না, পারব,’ মাথাঝাড়া দিয়ে মগজের ঘোলাটে ভাবটা দূর করে নিতে চাইল ক্যাথি। ‘ঠিক হয়ে গেছি আমি। আমি চাই ওরা ধরা পড়–ক, আবার কারো ক্ষতি করে ফেলার আগেই। আমি বাজারে গিয়েছিলাম। ১টায় ফিরেছি। বাসায় ঢুকে দেখি দু’জন লোক ঘরের জিনিসপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করছে। আমাকে বেঁধে ফেলে আলমারিতে ভরে রাখল। তারপর সারাটা বিকেল ঘরের মধ্যে ওদের ঘোরাঘুরি আর জিনিসপত্র ভাঙার শব্দ শুনেছি। ওদের কথা শোনার চেষ্টা করেছি। অল্পই বুঝেছি। কী যেন একটা ড্রাগনের কথা বলছিল বারবার।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement