২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

সাতচল্লিশ.
দৌড়ে দরজায় বেরিয়ে এলো রেজা, কিন্তু লোকগুলোর ছায়াও চোখে পড়ল না। বাতাসে মিলিয়ে গেছে যেন। হতাশ হয়ে ঘুরে দাঁড়াল সে। রেডের ঘরে ফিরে চলল।
শান্ত ঘর। নীরব। অন্ধকার। আলো জ্বলেনি এখনো। মেরুদণ্ড বেয়ে ভয়ের শীতল শিহরণ বয়ে গেল তার। সুজার কিছু হলো না তো?

আলো জ্বেলে দিলো রেজা। চিৎকার করে ডাকল, ‘সুজা? কোথায় তুমি?’
‘এখানে,’ কাউচের ওপাশ থেকে ভেসে এলো চাপা স্বর। ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল সুজা। বিরক্তিতে কুঁচকে রেখেছে চোখমুখ।
‘কী হয়েছে তোমার?’
‘কিছু না!’ মাথার পেছনে ডলতে ডলতে জবাব দিলো সুজা। ‘লোকটার গায়ে মোষের জোর। প্রথম ধাক্কায় মাটিতে ফেলে কাবু করে ফেলেছিলাম বটে। কিন্তু সামলে নেয়ার পর এমন এক ঝাড়া মারল আমাকে, বালিশের মতো উড়ে গিয়ে পড়লাম। মাথায় লাগল বাড়ি। বোধহয় বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিলাম।’ ঘরের চারপাশে চোখ বোলাল সে। ‘এ কী অবস্থা করে রেখেছে!’
দেয়ালে লাগানো ছবিগুলো টেনে ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। চেয়ার, কাউচ, বেশির ভাগই উল্টানো। ড্রয়ারগুলো টেনে বের করে এনে ভেতরের জিনিসপত্র মেঝেতে ঢেলে দেয়া হয়েছে। এমনকি কার্পেটটাও তুলে নিয়ে এক কোণে জড়ো করে ফেলে রেখেছে।
রান্নাঘর, বাথরুম, বেডরুম, সব ঘরের একই অবস্থা। মনে হচ্ছে ঝড় বয়ে গেছে ঘরগুলোর ওপর দিয়ে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাড়তি ঘরটার, রেড যেটাকে অফিস বানিয়েছে। তার ফাইলপত্র আর অন্যান্য জিনিস মেঝেতে ছড়ানো। অটোম্যাটিক অ্যানসারিং মেশিনটাকে আছড়ে ভাঙা হয়েছে। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement