১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

চুয়াল্লিশ.

২০ মিনিট পর ফিরে এসে ওদের পাশে সোফায় বসলেন ডক্টর জেন। ‘কেসটা অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে। একবার মনে হচ্ছে শক, আবার মনে হচ্ছে না। শরীরের কোথাও জখমের চিহ্ন নেই। হাড়টাড় ভাঙেনি কোথাও। এক্স-রে করতে দিয়ে এসেছি। দেখা যাক, কী বেরোয়।’
‘কিছুই কি আন্দাজ করতে পারছেন না?’ রেজার প্রশ্ন।
কপালে ভাঁজ পড়ল ডাক্তারের। দুই ভুরু কাছাকাছি হলো। ‘আমি শিওর না। তবে মস্তিষ্কে আঘাত পেলে এ রকম হতে পারে। কানকাশন বলে একে। বোমা ফেটে মগজে আঘাত পাওয়া রোগীর চিকিৎসা করেছি বেশ কিছু। ওসব রোগীর সাথে রেডের কেসটার মিল আছে। বিড়বিড় করা, প্রলাপ বকা, কোনো কিছু চিনতে না পারা, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা। কিন্তু রেডের মাথায় বোমার আঘাত লাগেনি। ওর কেন এ রকম হলো, বুঝতে পারছি না। ওর স্ত্রী কোথায়?’
‘জানি না। বাসায় ফোন করা হয়েছে। পাওয়া যায়নি।’
‘কিন্তু পাওয়া তো লাগবে। যদিও এতটা খারাপ অবস্থা নয় তার স্বামীর। তবে এখন পাশে থাকা দরকার। স্ত্রীকে দেখলে ঘোর কেটে যেতে পারে রেডের।’
উঠে চলে গেলেন ডক্টর জেন। রেজা-সুজা রেডের বাসায় ফোন করতে চলল। মিনিট দশেক চেষ্টার পর হাল ছেড়ে দিলো রেজা। সুজার দিকে ফিরে তাকাল। ‘বাসায় গিয়ে দেখা দরকার। পাশের বাসার কাউকে জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে মিসেস উইলকিনসন কোথায় গেছে।’
‘ঠিক,’ সুজাও একমত।
রেডের বাসায় চলল ওরা। গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ বলে উঠল রেজা, ‘ইস, ভুলেই গিয়েছিলাম! গত মাসে না একটা অটোমেটিক অ্যানসারিং মেশিন কিনেছে রেড!’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement