জা পা নে র রূ প ক থা জিব কাটা ময়না
- শেখ আব্দুল্লাহ্ নূর
- ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
(গত দিনের পর)
বুড়ো কাজ শেষে সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফেরে, ময়নাটি তাকে কুর্নিশ করে, সালাম দেয়। আনন্দে নেচে নেচে গান শোনায়। বুড়ো হাত-মুখ ধুয়ে পরিপাটি হয়ে ময়নার খাঁচার কাছে এসে বসে। ময়নারে এটা-ওটা জিজ্ঞেস করে। খাবার খেতে দেয়। নতুন নতুন শব্দ শেখায়। নিজের খাবারও ময়নার সাথে ভাগ করে খায় বুড়ো। কখনো বা ময়নার খাঁচার দরজা খুলে দেয়। বলেÑ ‘যা, চলে যা। এই বুড়োকে ফেলে দূরে কোথাও চলে যা। শান্তিতে থাকবি। আমি তো তোকে সুখে রাখতে পারি না। ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে পারি না।’
কিন্তু ময়না যায় না। বুড়োকে সে খুব ভালোবাসে। তাকে ফেলে কোথায় যাবে সে? ময়না খাঁচা থেকে বের হয়ে এ ঘর ও ঘর করে। ঘুরে বেড়ায়। উঠানে যায়, গাছের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়ায়। আবার সে নিজের মনে খাঁচার ভেতরে ফিরে আসে। ময়না পাখিটিও বোঝে, এই বুড়ো লোকটার কেউ নেই। বড় কষ্ট তার। দজ্জাল বুড়ির বক বক আর ঝগড়াঝাটিতে বুড়োর জীবন জ্বালাময় হয়ে আছে। মাঝে মাঝে বুড়ির বকাঝকায় মন খারাপ হলে বুড়োকে ময়না পাখি মিষ্টিসুরে গান শোনায়। ময়নার গান শুনে বুড়োর মন আবার ভালো হয়ে যায়। ভুলে যায় তার সব দুঃখ।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা