দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
তিন.
তখন আবার সন্দেহভাজনদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। যে কেউ ঘটাতে পারে এ রকম দুর্ঘটনা, মিটিংয়ে সেই লোক থাকুক বা না থাকুক।’
দমে গেল সুজা। রেজার কথায় প্রথমে মনে হয়েছিল, রহস্য সমাধানের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এখন মনে হচ্ছে, এ রহস্য ভেদ করা এত সহজ নয়।
দরজায় টোকা শুনে উঠে গিয়ে খুলে দিলো সে। জোসি দাঁড়িয়ে আছে।
ঘরে ঢুকল জোসি। পার্কাটা খুলে নিতে নিতে বলল, ‘রেড লাইটকে পাওয়া গেছে।’
‘ভালো আছে ও?’ চেঁচিয়ে উঠল সুজা।
‘আছে। কিন্তু ভীষণ দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে আমাকে। ওকে কেনলে রাখতে গিয়ে ছেঁড়া দড়িটা দেখলাম। কেউ কেটে রেখেছিল।’
মাথা ঝাঁকাল রেজা। ‘আমরাও দেখেছি। তোমাকে বলার সুযোগ পাইনি।’
‘টেড যে এতখানি যাবে কল্পনাও করতে পারিনি,’ ছোট্ট ঘরটার মধ্যে পায়চারি শুরু করল জোসি। ‘কী করতে চাইছে সে? যুদ্ধ? ও কি বুঝতে পারছে না ও যতটা ক্ষতি করছে আমার, আমিও ততটাই করতে পারি? এভাবে দু’জনে ঝগড়া আর একে অন্যের ক্ষতি করতে থাকলে লাভ কিছু হবে না, বরং ক্ষতি, রেসে আর অংশ নিতে পারব না।’
‘টেডকে দেখেছ নাকি?’ সুজা জিজ্ঞেস করল। ‘ওর সাথে কথা আছে আমাদের।’
মাথা নাড়ল জোসি। ‘দেখিনি। হয়তো কুকুরগুলোকে প্র্যাকটিস করাতে নিয়ে গেছে। এখন তো ওর একমাত্র কাজই হলো প্র্যাকটিস। আমিও অবশ্য তা-ই করতাম। কিন্তু দুর্ঘটনাগুলো আটকে দিচ্ছে আমাকে। ভয় লাগছে, প্র্যাকটিস করাতে না পারলে চর্বি জমে যাবে কুকুরগুলোর গায়ে। তাতে ক্ষিপ্রতা হারাবে ওরা। আমাকে আটকে ফেলে এটাই করাতে চাইছে কি না টেড, কে জানে!’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা