২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিশ্বের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী

কাচিন

-

আজ তোমরা জানবে কাচিন সম্পর্কে । এরা মিশুক ও বন্ধুবৎসল। তবে অধিকারসচেতন ও সংগ্রামী। নিজেদের অধিকার আদায়ে এরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত।
লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
কাচিন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বাস করে মিয়ানমারের সবচেয়ে উত্তরের রাজ্য কাচিনে । এরা দেশটির আটটি প্রধান জাতির একটি।
কাচিন জনসংখ্যা আনুমানিক ১.৬৮৯ মিলিয়ন। এদের বেশির ভাগ বাস করে মিয়ানমারে, কিছু বাস করে চীন ও ভারতে।
ভাত কাচিনদের প্রধান খাদ্য। ভাত ও তরকারির সাথে এরা স্যুপও খায়। কাচিনরা বেশ শিকারপ্রিয়। এরা প্রাকৃতিক সবজিও সংগ্রহ করে। অনেক সময় এদের খাদ্যতালিকায় মাছ ও মুরগির গোশত থাকে। কোনো কোনো কাচিন নুডলস পছন্দ করে। কাচিনদের বেশির ভাগ খ্রিষ্টধর্ম অনুসরণ করে। কিছু বৌদ্ধ ও সর্বপ্রাণবাদীও রয়েছে। কাচিন ভূখণ্ডে আমেরিকান মিশনারি আসার আগে বেশির ভাগ কাচিন ছিল সর্বপ্রাণবাদী। কিছু আরাধনা করত বিভিন্ন দেবতার। ১৮৭৭ সালে খ্রিষ্টান মিশনারি কাচিন এলাকায় কাজ শুরু করে।
কাচিনরা সাধারণত দোতলা বাড়িতে বাস করে। এগুলো তৈরি করা হয় কাঠ ও বাঁশ দিয়ে। বাড়িগুলো দেখতে ডিম্বাকৃতির। প্রথমতলা ব্যবহার করা হয় ভাঁড়ার ও পশুশালা এবং দ্বিতীয়তলা মূল বাসস্থান হিসেবে। কাচিন নারীরা কালো জ্যাকেট পরতে পছন্দ করে। এগুলোতে রুপার কাজ করা থাকে। এরা পশমি স্কার্টও পরে, যা তৈরি করা হয় বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করে। পুররুষেরা পরে কালো ও ঢোলা প্যান্ট বা লুঙ্গি এবং শার্ট। এরা মাথায় একধরনের পাগড়ি পরে।
কাচিন সমাজে আগে আত্মীয়দের মধ্যে বিশেষ করে মামাতো-ফুফাতো ভাইবোনদের মধ্যে বিয়ের প্রচলন ছিল। কাচিন সমাজে সাধারণত এক বিয়ে প্রচলিত; বহু বিয়ে নিন্দিত। একসময় বিয়েতে যৌতুক প্রথা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে এটি উঠে গেছে, টিকে আছে কেবল প্রতীকী হিসেবে।
কাচিনদের পূর্বপুরুষেরা বাস করত তিব্বত মালভূমিতে। ক্রমাগত এরা দক্ষিণ দিকে অভিবাসন শুরু করে। মিয়ানমারের কাচিনরা চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ য়ুনান থেকে এসে চিন্দুইন ও ইরাবতী নদী এলাকায় বসতি গড়েছে। কথিত আছে, কাচিনরা তিব্বতি-বার্মান জনগোষ্ঠীর সর্বশেষ অভিবাসী হিসেবে মিয়ানমারে এসেছে।
কাচিনরা মিশুক ও বন্ধুবৎসল। তবে অধিকারসচেতন ও সংগ্রামী। নিজেদের অধিকার আদায়ে এরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বার্মা (মিয়ানমার) স্বাধীন হয়। পরে বিভিন্ন কারণে সেখানকার বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধে। ১৯৬১ সালে কাচিনরা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ) গঠন করে। একনায়ক নে উইনের শাসনের বিরুদ্ধে কেআইএ লড়াই করেছে। নে উইনের শাসনামলের পরও এরা লড়াই করেছে। তবে আজকাল কাচিন বিদ্রোহের কথা তেমন শোনা যায় না।


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ

সকল