২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

বিস্কুট

-

আজ তোমরা জানবে বিস্কুট সম্পর্কে । ল্যাটিন শব্দ প্যানিস বিস্কোটাস থেকে বিস্কুটের নাম হলো, যার অর্থ
‘দুইবার রাঁধা রুটি’। বিস্কুট নামটা দিলো ব্রিটিশেরা।
লিখেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়
বিস্কুট ছাড়া আজকাল অনেকের চলেই না। সারা বিশ্বেই এটি পাওয়া যায়। কত রকমের বিস্কুট যে আছে!
বলতে পারো, বিস্কুট এলো কেমন করে?
ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতকের আগে মধ্যযুগের কোনো এক সময়ে এক রোমান রাঁধুনি এপিসিয়াস একদিন ময়দার লেই একটা থালায় পুরু করে বিছিয়ে সিদ্ধ করলেন। তারপর তা শুকিয়ে যখন শক্ত হয়ে গেল তখন তিনি তা টুকরো টুকরো করে কেটে ভেজে মচমচে করলেন। মধু মাখিয়ে সেটা যখন সবাইকে খেতে দিলেন সবাই সে খাদ্যের তারিফ না করে পারলেন না। সেটাই ছিল এ কালের আদি বিস্কুট। পরে রোমানরা ময়দা, চিনি, পানি ও সুগন্ধি মসলা মিশিয়ে একইভাবে ঘরে ঘরে বিস্কুট তৈরি করা শুরু করলেন। ধীরে ধীরে ১৬০০ সালের দিকে এসে বিস্কুট তৈরির পদ্ধতি আরো একটু আধুনিক হলো। এর সাথে ডিম মেশানো শুরু হলো। তৈরি হলো ফ্রেঞ্চ, লিসবন, নেপলস, স্প্যানিশ ইত্যাদি বিস্কুট। কিন্তু এই খাবারের বিস্কুট নামটা দিলো ব্রিটিশেরা। ল্যাটিন শব্দ প্যানিস বিস্কোটাস থেকে বিস্কুটের নাম হলো, যার অর্থ ‘দুইবার রাঁধা রুটি’। অষ্টাদশ শতকের পরে এসে বিস্কুট তৈরিতে যুক্ত হয় মাখন, ক্রিম ইত্যাদি এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর পরে যোগ হয় বেকিং সোডা, চকোলেট, ভ্যানিলা ইত্যাদি রাসায়নিক। এতে বিস্কুট হয়ে ওঠে আরো সুস্বাদু।


আরো সংবাদ



premium cement