২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটত্রিশ.

তুমুল শোরগোল। অ্যাসেম্বলি হলের অনেকেই সিট থেকে মেঝেতে ঝাঁপ দিয়েছে। বহু প্রশ্ন আর চিৎকার-চেঁচামেচির স্রোত বয়ে গেল জনাকীর্ণ ঘরটায়। কে যেন একজন চেঁচিয়ে উঠল, ‘এই চলো চলো, বেরোও! মরবে নাকি এখানে থেকে! দরকার নেই আমাদের থিম পার্কের!’
হুড়াহুড়ি করে দরজার দিকে ছুটল বহু লোক।
‘এই থামুন থামুন! শান্ত হোন!’ সব হট্টগোলকে ছাপিয়ে শোনা গেল মিস্টার সিউলের কণ্ঠ। ‘অহেতুক ঠেলাঠেলি করবেন না। ঘরের মধ্যে কোনো বিপদ নেই। বাইরে থেকে এসেছে বিস্ফোরণের শব্দ।’
আতঙ্কিত জনতার কাছ থেকে মুনকে টেনে সরাল রেজা ও সুজা। তারপর দু’জনে হাতে হাত ধরে ওকে মাঝখানে রেখে একটা ব্যারিকেড তৈরি করল উন্মত্ত জনতার ধাক্কাধাক্কি থেকে বাঁচানোর জন্য। শহরের গণ্যমান্য কয়েকজন নানাভাবে বুঝিয়ে জনতাকে থামানোর চেষ্টা করছে। দরজার কাছ থেকে ওদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে চেয়ারে বসাতে চাইছে। দ্রুত কমে এলো আতঙ্ক।
জেফরির চিৎকার শোনা গেল, ‘দরজার কাছ থেকে সরে আসুন। বাতাস ঢোকা বন্ধ করে দিচ্ছেন তো।’
ঘুরে তাকাল সুজা। একটা চেয়ারের ওপর দাঁড়ানো দেখতে পেল জেফরিকে। দুই হাত মুখের কাছে জড়ো করে চিৎকার করে আবার বললেন তিনি, ‘যারা আগুন নেভাতে পারে তাদের বেরোতে দিন আগে। সরুন। সরে যান দরজার কাছ থেকে।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement