ময়ূরের জন্ম কেমন করে হলো
- হাসান হাফিজ
- ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
(গত দিনের পর)
বিধাতার মনে কী আছে, তা মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় কোনো সময়ই। বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎই পাল্টে গেল আবহাওয়া। চোখের পলকে ঘটে গেল এই ঘটনা। পরিষ্কার ঝকঝকে আকাশ কালো করে ঘন মেঘ জমতে শুরু করল। অল্পক্ষণের মধ্যেই নীলাভ নির্মল আকাশ ছেয়ে যেতে লাগল কালচে রঙা মেঘের দাপটে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হলো তার পরপরই। সে কী বৃষ্টি! প্রবল তোড়ে নামছে তো নামছেই। এমন ঝুমবৃষ্টি অনেক দিন কেউ দেখেনি। মনে হয়, আকাশ বুঝি ফুটো হয়ে গেছে। মুষলধারার বৃষ্টিতে রুমাল ভিজে চুপসে গেল মুহূর্তেই। অবশ্য সেটাই তো স্বাভাবিক। স্বামী বেচারা ঝুমবৃষ্টি দেখে হতবাক। বউয়ের জন্য ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল সে। চিৎকার করে ডাকাডাকি করল তাকে। গলায় যতটুকু জোর আছে, ততটুকু দিয়ে। কিন্তু লাভ হলো না কোনো। এই হাঁকডাক বউটির কানে পৌঁছল না। কারণ, সে ছিল বাড়ি থেকে বেশ অনেকটা দূরে। ওদিকে মেয়েটিও বৃষ্টির মধ্যেই তাড়াহুড়ো করে ফিরে আসছিল বাড়িতে। মাছ ধরা শেষ হয়নি, তা-ও সে ফিরে আসছিল।
বাবার দেয়া সিল্কের দামি রুমালের জন্য ভীষণ চিন্তা হচ্ছিল তার। হায় রে! কী না কী ঘটে যায়! শেষে রুমাল নিয়ে কোনো অঘটন না ঘটে যায়, এ নিয়ে বড্ড চিন্তিত আর শঙ্কিত ছিল সে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা