২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্ব ঐতিহ্য সাফ্রানবলু

-

আজ তোমরা জানবে সাফ্রানবলু সম্পর্কে। এখানকার পুরনো মসজিদ, প্রাচীন গোসলখানা আর সোলায়মান
পাশা মাদরাসাসহ অনেক কিছু আকর্ষণীয়।
লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্

আমাদের গ্রহে এমন কিছু স্থাপনা বা নিদর্শন আছে, যা স্থানীয় গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের সম্পদে পরিণত হয়, পরিণত হয় বিশ্বসভ্যতার বিশেষ অংশে। তুরস্কের প্রাচীন নগরী সাফ্রানবলুতে রয়েছে এমনই কিছু স্থাপনা, যা সারা বিশ্বেরই আকর্ষণের বস্তু। এ কারণে ১৯৯৪ সালে এই নগরী ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের মর্যাদায় ভূষিত হয়।
সাফ্রানবলু ওসমানীয় সাম্রাজ্যের যুগে স্থাপত্য ক্ষেত্রে বিশেষ স্থান অধিকার করে।
১৩ শতক থেকে ২০ শতকের শুরুতে রেলপথ স্থাপনের আগ পর্যন্ত এর বিশেষ পরিচিতি ছিল। কারণ এ সময় এটি পূর্ব-পশ্চিমে বাণিজ্যপথে গুরুত্বপূর্ণ কাফেলা স্টেশন ছিল। এখানকার পুরনো মসজিদ, প্রাচীন গোসলখানা আর সোলায়মান পাশা মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩২২ সালে। ১৭ শতকে সাফ্রানবলুর গৌরবের যুগে এখানকার স্থাপত্য ওসমানীয় বিশ্বসাম্রাজ্যের (আজকের তুরস্ক এবং এর অধীন দেশগুলো) বিভিন্ন এলাকার নগর উন্নয়নে প্রভাব ফেলে।
সাফ্রানবলুর পুরনো শহরে ১০০৮টি ঐতিহাসিক স্থাপনা বা বস্তুসহ অনেক দালান সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ব্যক্তিগত জাদুঘর, ২৫টি মসজিদ, পাঁচটি সমাধি, আটটি ঐতিহাসিক ফোয়ারা, পাঁচটি তুর্কি গোসলখানা, তিনটি সরাইখানা, একটি ঐতিহাসিক ঘড়ি বুরুজ, একটি সূর্যঘড়ি এবং শত শত বাড়ি ও বড় অট্টালিকা। আরো আছে প্রাচীন জনবসতির স্তূপ, পাথরের সমাধি ও ঐতিহাসিক সেতুগুলো। প্রাচীন নগরীটির অবস্থান একটি গভীর সঙ্কীর্ণ উপত্যকায়, যা একটি সুন্দর শুষ্ক এলাকায় অবস্থিত। পর্বতমালার বাধাই একে করেছে অনেকটা বৃষ্টিশূন্য। তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট

 


আরো সংবাদ



premium cement