২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ছয়.
‘ডায়মন্ডহার্টের সঙ্গে কথা বলছি আমি,’ জোসি বলল। ‘আমাদের দিকেই আসছে দলটা। ডায়মন্ড আগে দেখেছে। দেখে আমাকে জানিয়েছে।’
‘কী করে বুঝলে তুমি?’ জিজ্ঞেস করল সুজা।
‘প্র্যাকটিস আর অভিজ্ঞতা দিয়ে,’ জবাব দিলো জোসি।
‘কই, আমি তো কিছু দেখছি না,’ রেজা বলল। ‘আকাশ আর বরফ ছাড়া।’
গতি কমাল না ডায়মন্ডহার্ট। তবে অন্য দলটাকে দেখার জন্য সারাক্ষণ মাথা উঁচু করে রাখল।
‘এ পথেই আসছে এখনো?’ জোসিকে জিজ্ঞেস করল সুজা।
‘হ্যাঁ,’ জোসি জবাব দিলো। ‘চিনতে পেরেছি ওকে। টেড।’
‘এত দূর থেকে চিনলে?’ সুজা অবাক। ‘শুধু ওই কালো বিন্দুগুলো দেখে?’
মাথা ঝাঁকাল জোসি। ‘এটা আমাদের শিখতে হয়। এ রকম বুনো অঞ্চলে দূর থেকে যে চিনতে পারবে না, যেকোনো সময় ভয়ানক বিপদে পড়তে হতে পারে তাকে। আমি এখান থেকেই বলে দিতে পারব দলটা কত বড়, কত গতিতে ছুটছে, কত দক্ষ মাশার।’
‘কিন্তু টেড এখানে কী করছে?’ রেজার প্রশ্ন।
‘প্র্যাকটিস,’ জবাব দিলো জোসি।
পঞ্চাশ গজের মধ্যে চলে এলো টেড। ভাবভঙ্গিতেই বোঝা যাচ্ছে রাস্তা ছাড়ার কোনো ইচ্ছেই তার নেই। ঝামেলা করতে চাইলো না জোসি। ডায়মন্ডহার্টকে থামতে বলে ব্রেক চাপল। স্লেজটা রাস্তা থেকে নামাতে জোসিকে সাহায্য করল দুই গোয়েন্দা। জোসি কুকুরগুলোকে রাস্তা থেকে সরিয়ে চুপ থাকার নির্দেশ দিলো।
সোজা ওদের দিকে ছুটে এলো টেড। গতি কমাল না। ভদ্রতা করেও একটা কথা বলল না কারো সঙ্গে। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement