২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী ক্রিমচাক

ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দুই ক্রিমচাক -

আজ তোমরা জানবে ক্রিমচাক সম্পর্কে । মধ্য ১৯ শতকে ক্রিমচাক নাম পরিচিতি পায়। এর আগে রুশ সাম্রাজ্যে এ জনগোষ্ঠী স্নেল ব্যালালারি নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ ইসরাইলের সন্তান। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
ক্রিমচাক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বৃহত্তর তুর্কি জাতির অংশ। সংখ্যায় এরা বেশি নয়; আনুমানিক দুই হাজার পাঁচ শ’। এর অর্ধেক বাস করে ইউক্রেনে, বিশেষ করে এ দেশের ক্রিমিয়ায়। বাকিদের বসবাস জর্জিয়া, রাশিয়া ও উজবেকিস্তানে।
ক্রিমচাকরা কথা বলে ক্রিমচাক ভাষায়। এর উদ্ভব ক্রিমিয়ান তাতার ভাষা থেকে। এ ভাষায় অসংখ্য হিব্রু ও অ্যারামীয় শব্দ রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে ক্রিমচাক ভাষা লেখা হতো হিব্রু হরফে। বর্তমানে এটি লেখা হয় সিরিলিক হরফে। সোভিয়েত যুগে স্ট্যালিনের শাসনের সময়ে হিব্রু হরফে ক্রিমচাক ভাষা লেখা নিষিদ্ধ করা হয়।
মধ্য ১৯ শতকে ক্রিমচাক নাম পরিচিতি পায়। এর আগে রুশ সাম্রাজ্যে এ জনগোষ্ঠী স্নেল ব্যালালারি নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ ইসরাইলের সন্তান।
ক্রিমচাকরা ইহুদি ধর্ম অনুসরণ করে। কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী ইহুদি উপনিবেশ থেকে সম্ভবত এই গোষ্ঠীর উদ্ভব। এখানকার অনেক গ্রিক উপনিবেশে ইহুদি সম্প্রদায় দেখা যেত।
সাত শতকে ক্রিমিয়ার বেশির ভাগ এলাকা ছিল খাজারদের অধীন। তার মানে ক্রিমচাকরাও ছিল এদের অধীন। এরপর বিভিন্ন রাজবংশের হাত ঘুরে এরা তাতার ও তুর্কিদের অধীন হয়। ক্রিমিয়ান খানেইটের (ক্রিমীয় রাজ্য) শাসনের সময় ক্রিমচাকরা জিজিয়া দিত। তুর্কি বা ওসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসনের সময়ে এরা বেশ বিচারিক স্বশাসন ভোগ করত।
১৭৮৩ সালে ক্রিমিয়া রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর সোভিয়েত শাসন পেরিয়ে এদের মূল আবাসভূমি ক্রিমিয়া এখন ইউক্রেনের অংশ; তবে রাশিয়ার দখলে। ওয়েবসাইট অবলম্বনে

 


আরো সংবাদ



premium cement