২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

খোঁচাজাল

-

আজ তোমরা জানবে খোঁচাজাল সম্পর্কে । খোঁচা মেরে মেরে জাল দিয়ে মাছ ধরা হয় বলে বরিশাল-বরগুনা অঞ্চলে এই জালকে খোঁচাজাল বলে। তবে এই নাম সব জায়গায় এক নয়। খোঁচাজাল এখনো এ দেশে টিকে আছে। লিখেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়

আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এটি নদনদীর দেশ। মাছ ধরা এ দেশের এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। মাছ ধরার জন্য এ দেশে বহু রকমের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মথ্যে অন্তত পঞ্চাশ রকমেরও বেশি জাল রয়েছে, যা দিয়ে মাছ ধরা হয়। খোঁচাজাল, হোচাজাল, খেপলা জাল, শিবজাল, ধর্মজাল, ঠেলাজাল, বেহুন্দি জাল, টানা জাল, পাটা জাল ইত্যাদি অন্যতম। খোঁচাজাল এ দেশের প্রায় সব এলাকাতেই দেখা যায়। খাল ও বিলে মাছ ধরার জন্য প্রধানত এই জাল ব্যবহৃত হয়। যেসব জলাশয়ে স্রোত থাকে সেসব জলাশয়ে মাছ ধরার জন্য এই জাল খুবই উপযোগী। এই জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য প্রথমে জলাশয়ে বড় বড় বাঁশের খুঁটি পুঁতে জাল টাঙানোর জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা হয়। সেই কাঠামোতে ত্রিভুজাকারে দু’টি লম্বা বাঁশ গোড়ার দিক একত্রে রেখে দু’দিকে প্রশস্ত করা হয়। এই বাঁশের সাথে খোঁচাজাল টান টান করে বেঁধে দেয়া হয়। গোড়ার দিকটা বাঁশের কাঠামোর সাথে এমনভাবে বাঁধা হয়, যাতে সেটি একটি লিভারের সাহায্যে ওঠানামা করতে পারে। একজন লোক গোড়ার প্রান্তে দাঁড়িয়ে জালটি জলাশয়ের ভেতরে স্রোতের বিপরীতে নামিয়ে দেয় এবং কিছুক্ষণ পর টেনে তোলে। স্রোতের সাথে আসা মাছ জালে আটকা পড়ে। সেসব মাছ ধরে বাঁশের কাঠামো বা খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা একটি বাঁশের ডোলে রাখা হয় এবং জাল আবারো জলে নামিয়ে দেয়া হয়। খোঁচা মেরে মেরে জাল দিয়ে মাছ ধরা হয় বলে বরিশাল-বরগুনা অঞ্চলে এই জালকে খোঁচাজাল বলে। তবে এই নাম সব জায়গায় এক নয়। খোঁচাজাল এখনো এ দেশে টিকে আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement