২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কে কী----- কেন কিভাবে নদীর নেকড়ে তাইমেন

-

আজ তোমরা জানবে তাইমেন সম্পর্কে । এরা সর্বগ্রাসী বা রাক্ষুসে প্রকৃতির মাছ। এদের প্রধান খাবার মাছ। তবে মাছ ছাড়াও এরা
হাঁস, স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ইঁদুর, বাদুড় ইত্যাদি খাবার
হিসেবে গ্রহণ করে। লিখেছেন শাহরিয়ার মাসুম

তাইমেন। প্রচণ্ড হিংস্র প্রকৃতির মাছ। স্যামন পরিবারের সদস্য এ মাছ নদীতে বসবাস করে। এরা শুধু হিংস্রই নয়, আকারেও অনেক বড়। এরা স্যামন পরিবারের সবচেয়ে বড় প্রজাতি। প্রচণ্ড হিংস্র স্বভাবের কারণে এদেরকে বলা হয় ‘নদীর নেকড়ে’। তাইমেনের গায়ের রঙ লালচে বাদামি। তবে মাথার রঙ ধূসর সবুজ। এদের দেহের দৈর্ঘ্য ছয় দশমিক পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। ওজন সর্বোচ্চ ৯০ কেজি।
এরা সর্বগ্রাসী বা রাক্ষুসে প্রকৃতির মাছ। এদের প্রধান খাবার মাছ। তবে মাছ ছাড়াও এরা হাঁস, স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ইঁদুর, বাদুড় ইত্যাদি খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এদের একটি ভয়ঙ্কর বৈশিষ্ট্য হলোÑ এরা এসব খাবারে পরিতৃপ্ত না হলে স্বজাতি তথা অন্য তাইমেনকেও শিকার করে। এদের এ হিংস্রতা নেকড়েকেও হার মানায়। তবে এরা এদের নিজ প্রজাতিকে শিকার করতে গিয়ে প্রায়ই বিপদে পড়ে। বিশাল আকারের তাইমেনকে গিলতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা পড়ে। এ যেন এদের হিংস্রতারই শাস্তি।
একসময় প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল থেকে সমগ্র রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার নদীগুলোয় এদের ব্যাপক বিস্তৃতি ছিল। কিন্তু পানি দূষণ ও অবাধ শিকারের কারণে এসব অঞ্চলে এরা বর্তমানে বিপন্নপ্রায়।
বর্তমানে রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ায় অল্প কিছু তাইমেন মাছ দেখা যায়। কথিত আছে, মঙ্গোলিয়ান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রচণ্ড হিংস্র এ মাছটিকে পবিত্র হিসেবে শ্রদ্ধা করে। কারণ তারা একে প্রাচীন নদীর আত্মার সন্তান বলে মনে করে। এ বিশ্বাসের কারণে এ জনগোষ্ঠী তাইমেন শিকার এড়িয়ে চলে। তাইমেনরা প্রায় ৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement