২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আট.
‘হ্যাঁ। গোল্ড এক বিচিত্র চরিত্র।’
‘সোনা মানে তো বিরাট ব্যাপার,’ সুজা বলল। ‘কিন্তু এ লোকটাকে দেখে ভাত পায় বলেই মনে হয় না।’
‘আসলেই, সত্যি টাকা নেই ওর। ৫০ বছর কাটিয়েছে সোনা খুঁজে খুঁজে। এখনো কিছুই করে উঠতে পারল না বেচারা। তবে সোনা খোঁজার তার বিরাম নেই।’
জোসির সঙ্গে শহরের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলল রেজা-সুজা। শহরের অন্য পাশে এসে একটা কেবিন দেখিয়ে জোসি বলল, ‘ওইটা আমার চাচার কেবিন।’
‘তোমার চাচার ছেলেমেয়ে নেই?’ সুজা জানতে চাইল।
‘আছে। এক মেয়ে। নাম মুনস্টোন। তোমাদের এগিয়ে আনার জন্য আমার সঙ্গে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু লাকড়ি কেটে আনাও জরুরি। সেজন্য বনে গেছে। অসুবিধা নেই, পরেও দেখা করতে পারবে। আর ওই যে কেবিনটা দেখছো, ওটা তোমাদের।’
চাচার কেবিন থেকে ১০-১২ গজ দূরে আরেকটা ছোট কেবিনে দুই গোয়েন্দাকে নিয়ে এলো জোসি। দুটো বাংক। একগাদা কম্বল। এ ছাড়া একটা টেবিল, একটা চেয়ার আর পেটমোটা একটা পুরনো স্টোভ আছে। মাটিতে বিছানো ভালুকের চামড়ায় তৈরি একটা মাদুর। স্টোভের পাশে একটা কাঠের খোলা বাক্স লাকড়িতে বোঝাই।
‘এখানে থাকতে তোমার কষ্ট হবে না তো?’ জোসি জিজ্ঞেস করল। ‘তোমাদের বাড়ির মতো আরাম পাবে না আগেই বলে দিচ্ছি।’
‘আমার তো খারাপ লাগছে না,’ হাতের ব্যাগটা একটা বাংকে নামিয়ে রাখল রেজা। ‘বরং মনে হচ্ছে আরামেই থাকতে পারব। শোনো, আমাদের নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। বহু খারাপ জায়গায় থেকে অভ্যাস আছে আমাদের।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement