২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

লালচূড়া সারস

-

আজ তোমরা জানবে লালচূড়া সারস সম্পর্কে । এটি একটি দুর্লভ পাখি। লিখেছেন মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
লালচূড়া সারস পৃথিবীর দুর্লভ প্রজাতির সারসদের একটি। মাথার উপরে লাল চামড়া দ্বারা গঠিত টুপির মতো অংশের জন্য এর নাম হয়েছে লালচূড়া সারস। এর ইংরেজি নাম Red-crowned crane.. বৈজ্ঞানিক নাম Grus japonenses. পৃথিবীর বৃহৎ পাখিদের মধ্যে লালচূড়া সারস অন্যতম।
এদের গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল সাদা। ঘাড় ও ডানার অগ্রভাগ কালো। ডানার বিস্তার ৮ ফুট পর্যন্ত হয়। ওজন ২০ পাউন্ড। এদের ঠোঁট লম্বা, চোখা এবং খুবই ধারালো। ঠোঁটকে এরা বর্শার মতো ব্যবহার করে। এ লম্বা আকৃতির ঠোঁট এদের খাবার খোঁজার কাজকে সহজ করে দেয়।
লালচূড়া সারস দল বেঁধে বসবাস করে। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এরা সাধারণত পূর্ব এশিয়াতে অবস্থান করে। শীতকাল কাটায় জাপান, চীন এবং কোরিয়ান উপদ্বীপের বিভিন্ন নদী, লবণাক্ত ও স্বাদুপানির জলাভূমিতে।
এরা একগামী। অর্থাৎ সঙ্গী পাখির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নতুন কোনো পাখির সাথে জোড় বাঁধে না। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি যৌথভাবে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী পাখি সাধারণত দু’টি ডিম পাড়ে। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পরে স্ত্রী পাখি বাচ্চা দেখাশোনার কাজেই নিয়োজিত থাকে। আর এ সময়ে পুরুষ পাখি প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করে। লালচূড়া সারসের বিশাল আকার, একে বিভিন্ন শিকারি প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এরা গতিতে শিকারি প্রাণীকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটি অসাধারণ উড়–ক্কু পাখি। অভিবাসন ঋতুতে অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে।
সুন্দর নাচতে পারে এমন পাখিদের মধ্যে লালচূড়া সারস অন্যতম। নাচের সময় এরা নিজেদের আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। এ নাচ দু’টি পাখির বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে। এদের এ আকর্ষণীয় নাচের উদ্দেশ্য হচ্ছে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং প্রণয় প্রার্থনা করা।
১৯৫২ সালে লালচূড়া সারসকে জাপানের জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাপানিরা এ সারসকে পবিত্র পাখি হিসেবে শ্রদ্ধা করে এবং বিয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার প্রতীক মনে করে। চীনারা একে ভাগ্য এবং শান্তির প্রতীক মনে করে। সারসের ১৫টি প্রজাতির মধ্যে লালচূড়া সারস সবচেয়ে বেশি বিপন্ন অবস্থার সম্মুখীন। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে বর্তমানে এ আকর্ষণীয় সারসের সংখ্যা মাত্র এক হাজার ৫০০। অন্যান্য সারসের মতো এরও প্রধান হুমকি হচ্ছে বাসস্থান ধ্বংস।
আমুর নদী ও খানকা হ্রদে চীন ও রাশিয়া যৌথভাবে এ দুর্লভ পাখিকে রক্ষার জন্য সহযোগিতা করছে। কারণ, আমুর নদী ও খানকা হ্রদ এ দু’দেশের সীমান্তে অবস্থিত এবং এখানে কিছু লালচূড়া সারসের বাসস্থান রয়েছে।
যদি এ সুন্দর পাখি পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় তাহলে এশিয়ানরা তাদের ভাগ্য এবং শান্তির এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হারাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা

সকল