২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কিশোর মুসা রবিনের অভিযান

-

একান্ন

‘আমার খেতে ইচ্ছে করছে না,’ খাবারের প্লেটের দিকে নিরাসক্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে বলল রবিন। ‘রাতে যে কী ঘটবে, ভাবলেই পেটের মধ্যে মোচড় দিচ্ছে আমার।’
মুরগির গোশত চিবুতে চিবুতে বলল মুসা, ‘যা খাওয়ার খেয়ে নাও। বলা যায় না, এটাই হয়তো আমাদের জীবনের শেষ খাওয়া।’
কিশোর বলল, ‘শেষ খাওয়া হোক বা না হোক, খাওয়াটা জরুরি। গায়ে শক্তি বজায় রাখতে হবে। নইলে বেঁচে ফিরতে পারব না।’
‘দেখো দেখো, কে এসেছেন!’ রবিন বলল। ‘মিস্টার উলফ!’ ইঙ্গিতে ডাইনিং হলের অন্য প্রান্তের একটা টেবিল দেখাল সে। ভীষণ ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে তাকে।
‘মিস্টার উলফের মতো দেখতে,’ কিশোর বলল, ‘কিন্তু মিস্টার উলফ নন। এই ভদ্রলোকের অত চুলদাড়ি নেই।’
‘চুল আছে, দাড়ি নেই,’ রবিন বলল। ‘মিস্টার উলফই। গলায় ঝোলানো ঘণ্টাটা দেখছ না?’
সত্যিই অন্য চেহারা হয়ে গেছে তার। দাড়িগোঁফ কামানো। পরনে পরিষ্কার নীল জিনস। পায়ে নাইক জুতো। গায়ে লাল শার্ট। চুলগুলো সুন্দর করে আঁচড়ে পেছনে টেনে নিয়ে গিয়ে ঘোড়ার লেজের মতো করে ব্যান্ড দিয়ে বাঁধা। দেখে মনেই হয় না, তিনিই সেই চুলদাড়ির জঙ্গলে ঢাকা মিস্টার উলফ। হাতের লোমগুলো আগের মতোই আছে।
বিমূঢ়ের মতো তাকিয়ে থেকে মুসা বলল, ‘তার মানে মিসল্টে সত্যিই কাজ করেছে! বিশ্বাস হচ্ছে না!’
মাথা দুলিয়ে ফারিহা বলল, ‘না করেও তো উপায় নেই। চোখের সামনেই দেখছি। সত্যি, শক্তিশালী জিনিস।’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement