২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কিশোর মুসা রবিনের অভিযান

-

পঞ্চাশ
কিশোরের পাঁজরে গুঁতো দিলো মুসা। কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল, ‘অ্যালার্জি-ফ্যালার্জি কিছু না। পাতার প্রতিক্রিয়া। কাজ হয়েছে।’
মাথা দুলিয়ে রবিন বলল, ‘তার মানে আমাদের সন্দেহই ঠিক। মায়ানেকড়ে না হলে অসুস্থ হতেন না মিস্টার উলফ।’
খুব আস্তে কথা বলছে ওরা, তারপরও ‘মিস্টার উলফ’ আর ‘অসুস্থ’ এই শব্দ দুটো ওর কানে চলে গেল। বলল, ‘তবে আজ রাতে হাঁটতে বেরোনো বন্ধ করবেন না। ততক্ষণে আশা করি ঠিক হয়ে যাবেন।’
‘তার মানে রাতের প্রোগ্রামটা বাতিল হচ্ছে না?’ রবিন জিজ্ঞেস করল।
‘না,’ কর্মী বলল। ‘তিনি বেরোবেনই। কোনো কিছুর বিনিময়েই পূর্ণিমা রাতে বনে বেরোনোটা মিস করবেন না তিনি। মিস করলে মরেই যাবেন।’
বিড়বিড় করে ফারিহা বলল, ‘আর মিস না করলে আমরা মরব।’
তার কথা হয় শোনেনি কর্মী কিংবা শুনলেও গুরুত্ব দিলো না। বলল, ‘তার সঙ্গে তোমরা সবাই বেরিয়ে গেলে সেই সুযোগে কেবিনগুলো পরিষ্কার করে ফেলতে পারব আমরা।’
ঢোক গিলল রবিন। ‘তার মানে একা মিস্টার উলফের সঙ্গে যাচ্ছি আমরা, আপনারা কেউ আসছেন না?’
‘না। মিস্টার উলফ বলেছেন, তিনি একাই সামলাতে পারবেন। সারা দিন আজ আর তেমন কোনো কাজ নেই তোমাদের। আমাদেরও না। রাতে যাতে ক্লান্ত হয়ে না পড়ি, সেজন্য দিনের বেলা আরাম করে কাটাব।’
কিন্তু ফারিহা, রবিন, কিশোর, মুসার বেলায় ব্যাপারটা ঘটল ভিন্ন। আসন্ন রাতের কথা ভাবতে ভাবতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ল ওরা। দুপুরে খেতে বসার সময় উদ্বেগ আর উত্তেজনায় রীতিমতো অসুস্থ বোধ করতে লাগল। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement