২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকার ক্যাসিনো চালাতে এতো নেপালি আনা হলো কেন?

- সংগৃহীত

হিমালয়ের দেশ হিসেবে খ্যাত নেপাল পর্যটনের জন্য সুপরিচিত। এই পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করেই নেপালে গড়ে উঠেছে ক্যাসিনো। নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যেখানে বৈধভাবে ক্যাসিনো চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে ৯টি এবং রাজধানীর বাইরে ২টি ক্যাসিনো আছে।

কাঠমান্ডুতে বিবিসির সংবাদদাতা বিষ্ণু পোখারেল বলেন, প্রতিটি ক্যাসিনোতে কমপক্ষে ৩০০'র মতো কর্মী রয়েছে। এসব ক্যাসিনোর বাইরে নেপাল-ভারত সীমান্তে দুই ডজনের বেশি ছোট ক্যাসিনো রয়েছে। তবে নেপালের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকরা ক্যাসিনোতে জুয়া খেলতে পারেন না। এই ব্যবস্থা শুধুই বিদেশী নাগরিকদের জন্য।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবৈধভাবে পরিচালিত ক্যাসিনোতে নেপালের অনেক নাগরিক কাজ করতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় এ বিষয়টি উঠে এসেছে। কর্মকর্তাদের তথ্যমতে যেসব ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে শতাধিক নেপালের নাগরিক কাজ করতো। এদের মধ্যে অনেকে নারী।

প্রশ্ন হচ্ছে, এসব ক্যাসিনোতে নেপালের নাগরিকরা কেন কাজ করতো?

ক্যাসিনোর জন্য যেসব জুয়ার বোর্ড আনা হয়েছে সেগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ লোক বাংলাদেশে নেই। তাছাড়া নেপালি নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ক্যাসিনোগুলোকে একটু অভিজাত চেহারা দেবার চেষ্টা করেছেন ক্যাসিনো মালিকরা।

র‍্যাব ৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলছেন, তিনি চারটি ক্যাসিনোতে অভিযান পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেখানে ১৬ জন নেপালের নাগরিকের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন।

"তারা মূলত ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করতো, ক্যাসিনো পরিচালনায় তারা দক্ষ," বলছিলেন মি. বুলবুল।

নেপালের নাগরিকরা এসব বোর্ড পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশী কয়েকজনকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ঢাকার ক্যাসিনোগুলোতে নেপালের নাগরিকদের অধিকাংশই বেতনভূক্ত কর্মচারী ছিলেন বলে জানান পুলিশের এক কর্মকর্তা।

তবে কয়েকজন নেপালি নাগরিক কয়েকটি ক্যাসিনোতে অংশীদার ছিল বলে কর্মকর্তারা বলছেন। তাছাড়া নেপালের নাগরিকদের বেতন অন্য দেশের ক্যাসিনো অপারেটরদের তুলনায় কম। কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্যাসিনো পরিচালনার সাথে যেসব নেপালের নাগরিক সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থ পাচার করতে সুবিধা হতো - এমন তথ্যও পেয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

রোববার ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে পুলিশ যে অভিযান চালিয়েছে সেখানে ১৬ জন নেপালের নাগরিক সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ঢাকার ক্যাসিনোতে নেপালি নাগরিকদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে আটক করেনি।

কাঠমান্ডুতে বিবিসির সংবাদদাতা বিষ্ণু পোখারেল বলেন, ক্যাসিনো পরিচালনায় নেপালিরা বেশ দক্ষ। ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য নেপালিরা বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলংকা, তাইওয়ান, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement