২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আসল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে পাকড়াও ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট

- ছবি : নয়া দিগন্ত

দীর্ঘ একবছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে অর্থ আদায় করতো মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভূইয়া। মঙ্গলবার একই কায়দায় গুলশান এভিনিউ’র চিটাগাংবুল নামের একটি রেসটুরেন্টে গিয়ে নিজেকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।

এদিকে ভুয়া এই ব্যাক্তির অতি ব্যস্ততা দেখে সন্দেহ হয় কর্মকর্তাদের। খবর দেয়া হয় আসল ম্যাজিস্ট্রেটকে। পরে আসল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতেই পাকড়াও হন এই ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট।

ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশনের এক কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবী করার অপরাধে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় গুলশান এভিনিউর একটি রেস্টুরেন্ট থেকে মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভুইয়া নিজেকে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সারোয়ার পরিচয় দিয়ে রেস্টুরেন্ট ম্যানেজারের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। রেস্টুরেন্ট ম্যানেজারের সন্দেহ হলে তিনি কৌশলে মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভূঁইয়াকে আটকে রাখেন এবং ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারকে জানান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভূঁইয়া স্বীকার করেন যে, তিনি প্রায় এক বছর ধরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার কাছে থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি দামী স্মার্টফোন ও একটি মানিব্যাগে ১১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। ভুয়া পরিচয় ও প্রতারণা করার অপরাধে দন্ডবিধির ১৭১ ধারা অনুযায়ী মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভূঁইয়াকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement