১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অধ্যক্ষের নির্দেশেই নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা

- ছবি : সংগৃহীত

নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। সব মিলিয়ে নুসরাত হত্যাকা-ের সঙ্গে ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে নুসরাতের গায়ে সরাসরি আগুন দেয় চারজন।

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের হেড কোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, যারা আগুন দিয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছিল শাহাদাত হোসেন শামীম। শম্পা নুসরাতকে ওপরে যেতে বলেছিল। আরেকটি মেয়ে ছিল (যার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে)। আগুন দিয়ে পরে মাদরাসার মূল গেট দিয়েই সরে যায় দুর্বৃত্তরা।

পিআইবি জানায়, নুসরাত জাহান রাফির গায়ে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার ঘটনার সাথে এ পর্যন্ত মোট ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত সাতজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নুসরাতের গায়ে সরাসরি আগুন দেয় যে চারজন তার মধ্যে এক নারীসহ দুইজনকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা গেছে। এই দুইজনের একজন শাহাদাত হোসেন শামীমকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট আরো কয়েকজনের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। তবে শাহাদাতকে এখনো আনুষ্ঠানিক গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

পিবিআই জানিয়েছে, ৮ এপ্রিল নুর উদ্দীনসহ আরো কয়েকজন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সাথে কারাগারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন অধ্যক্ষ তাদের বলেছিলেন, তোমরা আমার জন্য কী করতে পেরেছো? তার মুখ বন্ধ করে দাও তোমরা। তা না হলে পরে সমস্যা হবে।

তখন বাসায় ফিরে নুররা সিদ্ধান্ত নেন নুসরাতকে যে করেই হোক মাইনাস করতে হবে। তারা পরিকল্পনা নেয় নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার। অভিযুক্ত নুর উদ্দীন জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআই।

এর আগেও নুসরাতের উপর হামলা হয়েছিল। তখন চুন মারা হয়েছিল তার চোখে। সে সময় ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছিল নুসরাত।

১৩ জন গ্রেফতার

এ মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত সাতজন ও সন্দেহভাজন ছয়জন মোট ১৩ জনকে গ্রেƒফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা (৫৫), মাদরাসার ছাত্র নুর উদ্দিন (২০) ও শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম (৪৫), জোবায়ের আহম্মেদ (২০), জাবেদ হোসেন (১৯) ও আফতার উদ্দিন। এজাহারে নাম উল্লেখ থাকা হাফেজ আব্দুল কাদেরকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।

অন্যদিকে সন্দেহভাজন যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো কেফায়েত উল্লাহ জনি, সাইদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি, নূর হোসেন ও আলাউদ্দিন।

উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।

ঘটনার চারদিন পর ১০ এপ্রিল, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২

সকল