২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘নদী দখলমুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে’

নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের আলোচনা সভা সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় - ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা শহরে এমন জায়গা আছে মানুষ দেখলে কখনো বুঝতেই পারবে না যে এখানে নদী ছিল। নদী দখল হয়ে সেখানে বড় বড় বিল্ডিং হয়ে গেছে। এখন তা দখলমুক্ত করা হচ্ছে। সারাদেশে নদী দখলমুক্ত করতে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘দূষণ, দখলমুক্ত করি, নৌযাত্রা নিরাপদ করি, বিশ্বমানের নৌ ব্যবস্থার স্বপ্নকে সফল করি’ শীর্ষক স্লোগানে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, ইচ্ছা করলেই আমরা নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে পারি। এতে সরকার ও ইন্ডাস্ট্রি মালিকদের সদিচ্ছার প্রয়োজন। একটা সময় ছিলো নদীতে কোনো নিরাপত্তাই ছিলো না। বর্তমান সরকার নৌ নিরাপত্তায় কাজ করছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি প্রশ্ন তোলেন, নৌ নিরাপত্তা কিভাবে হবে? ২৬ হাজার জাহাজ চলাচল করে সেখানে ৪ হাজারও পাইলট নেই। এগুলো চালানোর জন্য ২২৫ জন পাইলট রয়েছে। জাহাজ মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু ব্যবসা করলেই হবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথাও মাথায় রাখতে হবে। নৌ দুর্ঘটনা হলে ইন্স্যুরেন্স না থাকায় ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নেওয়া যায় না। তাই ইন্স্যুরেন্স করার জন্য জাহাজ মালিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, নৌ নিরাপত্তার জন্য সরকার বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম নৌমন্ত্রণালয় গঠন করেন। বর্তমান সরকার বিগত ১০ বছরে ড্রেজিং করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে মাত্র ৭টি ড্রেজার ছিলো। বর্তমান সরকার তা ৪০টিতে উন্নীত করেছে। ভবিষ্যতে আরো ৩৫টি যোগ করা হবে। ঢাকার আশেপাশে নদীগুলোসহ বাংলাদেশের সমস্ত নদীগুলো ড্রেজিং করা আমাদের লক্ষ্য। নদী দূষণ, নদী দখলমুক্ত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। প্রধান আলোচক ছিলেন এমআইএসটি’র অধ্যাপক ডক্টর রিয়াজ হাসান খন্দকার, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর মাহবুব-উল-ইসলাম, নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, অধ্যাপক মীর তারেক আলী, ক্যাপ্টেন আরিফ মাহমুদ। এছাড়া নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম আলোচনা সভায় স্বাগত ভাষণ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement