১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পিস্তল ও গুলিসহ বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা আটক

পিস্তল ও গুলিসহ বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা আটক - সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘোষণা ছাড়াই পিস্তল ও গুলি নিয়ে প্রবেশ করায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ তার কাছ থেকে পিস্তল জব্দ করে। পরে তাকে বিমানবন্দর থানায় সোপার্দ করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তি হলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সৈনিক লীগের নেতা সরদার মুজিব।

শাহজালাল বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, আটক মুজিবের সন্ধ্যা ৭টার নভোএয়ারের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে যশোর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ রুটে প্রবেশের সময় পিস্তলসহ তাকে আটক করা হয়।

তিনি আরো বলেন, অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করলেও কোনো ধরণের ঘোষণা দেননি তিনি। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তার অস্ত্র সনাক্ত করে। তিনি নিজেকে সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন।

মামলা দিয়ে তাকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান বিমানবন্দর কর্মকর্তা নূর আলম সিদ্দিকী।

আরো পড়ুন : অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১১ মার্চ ২০১৯

চলতি মাসেই বিমানবন্দরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের খবর প্রকাশ হয়েছে দুইবার। সোমবার তৃতীয়বারের মতো এই ঘটনা ঘটেছে। ঘোষণা ছাড়াই অস্ত্র নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের অভিযোগে যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ হোসেনকে আটক করেছে এভিয়েশন নিরাপত্তা সংস্থা এভসেক। সোমবার বিকেলে তাকে আটক করা হয়।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নিয়ম না মেনে ঘোষণা ছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করায় মেহেদী মাসুদ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের এভিয়েশন নিরাপত্তা গ্রুপ এভসেক তাকে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছে। এখন পুলিশ তার বিরুদ্ধে দেশে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।

যদিও আটক মেহেদী মাসুদ হোসেনকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি বলে দাবি করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম।

তিনি বলেন, মেহেদী মাসুদ হোসেনকে অফিসিয়ালি এখনো আমাদের কাছে (থানায়) বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।

চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই-চেষ্টার ঘটনায় প্রাপ্ত খেলনা পিস্তলের তদন্ত শেষ না হতেই গত ৫ মার্চ লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানিং মেশিন পার হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

এ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন যে তথ্য দেন তাকে ‘অসত্য’ বলে মন্তব্য করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কিন্তু তারপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়।

ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল বিতর্ক শেষ না হতে না হতেই গত ৮ মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রথম চেকিং পার হওয়ার পর নিজের সঙ্গে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন মামুন আলী নামে এক যাত্রী। পরবর্তীতে যাত্রী মামুন পিস্তল ও গুলি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিয়ম মেনে সঙ্গে করে সিলেটে নিয়ে যান।

এরপর ঘোষণা ছাড়াই অস্ত্র নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিমানবন্দরে আটক করা হলো।

আরো পড়ুন : অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার কারণ বললেন কাঞ্চন
নয়া দিগন্ত অনলাইন ০৬ মার্চ ২০১৯

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হওয়ার সময় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র স্ক্যানারে ধরা না পড়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। খবর বিবিসির। 

তবে এই ঘটনায় একজন স্ক্যানার অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে - বিবিসি বাংলাকে এমনটাই জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।

এদিকে কাঞ্চন জানিয়েছেন যে তিনি ভুলক্রমে অস্ত্র ব্যাগে নিয়েই চলে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। ‘ল্যাপটপ ব্যাগের ভেতরে অস্ত্রটা ছিল, যেটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম,’ বলেন কাঞ্চন।

চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাথমিক নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় তার সাথের অস্ত্রটি ধরা পড়েনি বিমানবন্দরের স্ক্যানারে।

কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি 'খেলনা' বন্দুক নিয়ে ফ্লাইটে উঠে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।

ইলিয়াস কাঞ্চন অস্ত্র নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হওয়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছে বিষয়টি।

ইলিয়াস কাঞ্চন যা বলছেন
কাঞ্চন বলছেন ‘প্রাথমিক পর্যায়ে ল্যাপটপ ব্যাগ স্ক্যানারে দেয়ার পর আমার দেহও তল্লাশি করা হয়। দেহ তল্লাশি করা শেষ হতে হতে ব্যাগও স্ক্যান শেষ হয়ে আমার কাছে চলে আসে।’

প্রথম ধাপের তল্লাশি শেষে বোর্ডিং করে ব্যাগসহ দ্বিতীয় ধাপের তল্লাশির জন্য পৌঁছে যান বলে জানান মি. কাঞ্চন।

‘বোর্ডিং শেষে দ্বিতীয় স্ক্যানারে যখন দিতে যাব ব্যাগ, তখন আমার মনে পড়লো যে সাথে তো অস্ত্র আছে!’

কাঞ্চন বলেন, দ্বিতীয় ধাপের স্ক্যানারে ব্যাগ দেয়ার আগেই সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অস্ত্র সম্পর্কে অবহিত করেন তিনি।

‘তখন সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের জানালাম যে আমার ব্যাগে অস্ত্র আছে। সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিয়ে আসতে চাইলে তারা আপত্তি করেনি।’

‘এরপর এয়ারলাইনসের কাউন্টারে গিয়ে অস্ত্রের কথা বলার পর তারা কাগজপত্রের সাথে মিলিয়ে দেখে। এরপর অস্ত্রটি জমা দেয়ার পর আমি আবার বোর্ডিংয়ের দিকে চলে যাই।’

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক রুটের একটি বিমান ছিনতাই চেষ্টার পর ওই ছিনতাইকারী এবং তার সাথে থাকা 'অস্ত্র' নিয়ে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, র‍্যাব ও সেনা দপ্তরসহ নানা পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের মধ্যে ছিল সমন্বয়হীনতা।

ঐ ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী দাবি করেছেন যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো গলদ ছিলোনা এবং এখনো নেই।

 


আরো সংবাদ



premium cement