২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড : ছয়জনকে দায়ী করে চার্জশীট

হত্যা
অভিজিৎ রায় - ছবি : বিবিসি

লেখক অভিজিৎ রায় খুনের চার বছর পর ওই হত্যার জন্য ছয়জনকে দায়ী করে চার্জশীট আদালতে দায়েরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

ঢাকায় বাংলা একাডেমির বইমেলা প্রাঙ্গণের বাইরে ফুটপাতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিলো লেখক অভিজিৎ রায়কে। একই সাথে আহত হয়েছিলেন সাথে থাকা তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।

সেই হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, এই হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ মোট ১১ জন জড়িত।

আজ সোমবার এক কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সব তথ্য মিলিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, এ ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত পলাতক মেজর জিয়া। যার নেতৃত্বে মোট ১১ জন এ ঘটনা সংঘটিত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সবার নাম ঠিকানা আমরা পাইনি। ছয়জনের পাওয়া গেছে ও এই ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিচ্ছি।’

‘গ্রেফতারকৃত তিন আসামি মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত রহমান শামস ও আবু সিদ্দিক সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। অন্য কারা জড়িত, কিভাবে ঘটনা হয়েছে, কেন হয়েছে সব তারা বর্ণনা দিয়েছে’, বলেন তিনি।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এর আগে র‍্যাবের হাতে আটক শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে এ ঘটনার প্ররোচনার অভিযোগ মিলেছে ও ফারাবী ফেসবুক ও অন্য জায়গায় অভিজিৎ রায় হত্যার জন্য উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়েছে।

বাকি দুজন অর্থাৎ মেজর জিয়া নিজে এবং আরেকজনের নাম আকরাম যাদের এখনো আটক করা যায়নি।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খুন হয়েছিলেন অভিজিৎ রায়। তিনি মুক্তমনা নামের একটি ব্লগ পরিচালনা করতেন।

এর কয়েক মাস পর ৭ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো যে, তারা অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত সাতজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে।

সে সময় গোয়েন্দা পুলিশের তখনকার মুখপাত্র মুনতাসীরুল ইসলাম ব্রিফিং করে বলেন, ‘অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনায় চিহ্নিত সাতজনই সরাসরি জড়িত, এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।’

তার মতে, চিহ্নিতদের একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেছে এবং বাকিরা ঢাকায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।

সাতজনই সচ্ছল পরিবারের এবং তারা আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তবে এদের কাউকেই পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি।

এরপর বিভিন্ন সময় এ ঘটনার তদন্ত নিয়ে নানা ধরণের বক্তব্য এসেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে।

সর্বশেষ এখন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আজ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলো আদালতে।


আরো সংবাদ



premium cement