১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

ডাকসু নির্বাচনের জন্য আগামী মার্চকে টার্গেট করেছেন উপাচার্য

ডাকসু নির্বাচনের জন্য আগামী মার্চকে টার্গেট করেছেন উপাচার্য - সংগৃহীত

২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন ও চলতি বছরের অক্টোবরে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রোববার ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পরিবেশ পরিষদের সভা শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি একথা বলেন।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টা থেকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন অংশ নেয়। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সবার মতামতের ভিত্তিতে ডাকসু নির্বাচন হতে হবে। আগামী তিন চার মাসের মধ্যেও সেটা হতে পারে।

রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থানের বিষয়ে গোলাম রব্বানী বলেন, প্রতিটি হলে ৩০ শতাংশের বেশি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী নেই। বাকিরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী। আমরা মনে করি, সব সংগঠন সহাবস্থানেই রয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রদল পেট্রল বোমা ছুড়বে না এবং ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরি করবে না—এটা যদি নিশ্চিত করে তাহলে তাদের সঙ্গে সহাবস্থানে আপত্তি নেই।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি সহাবস্থানের বিষয়ে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি। আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন করতে হবে। তখনই ডাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আসবে।’

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘আমরা বারবার ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ জানতে চেয়েছি। কিন্তু তারা জানায়নি। কেউ-কেউ ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরের বিষয় নিয়ে ভাবছেন। আমরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি। অতএব জাতীয় নির্বাচনে আগে-পরে বিষয় ঠিক নয়, দ্রুততম সময়ে আমরা ডাকসু নির্বাচন নেই।’ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবীব বলেন, আমরা চাই নভেম্বরের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হোক।

কবে নাগাদ নির্বাচন দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে একটা নির্দেশনা আমাদের আগেই দেয়া আছে। নির্বাচনী কাজের পরিধি নিয়ে আমাদের প্রভোস্ট কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটি ইতোমধ্যে একটা নির্দেশনা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের মার্চ মাস আমাদের টার্গেট। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য কাজ করছেন। অক্টোবরের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করব। এটা কঠিন কাজটা করতে পারলে আমরা অনেক এগিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, সামনে আমাদের অনেক বড় একটি বিষয় আছে। সেটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের আজকের (রোববার) সভা ডাকা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় রীতিনীতি ও মূল্যবোধ নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করেছে। তারা যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন সেগুলো আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নোট করেছেন। সেগুলো আলোচনা পর্যালোচনা করে প্রতিটি বিষয় কিভাবে সমাধান করা যায় সেগুলোর দিকে আমরা এগুবো।

আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচন কবে নাগাদ হতে পারে। সম্ভাব্য তারিখ ও শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থানসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা যে বক্তব্যগুলো দিয়েছে সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো। এ ধরনের বৈঠক আরও হবে, এটা প্রথম সভা।

তিনি বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলো বলেছে, যৌক্তিক সময়ে এটা করা দরকার। সবাইকে এক করে যেন করতে পারি এ ধরনের পরামর্শ দিয়েছে। কেউ বলছে, মার্চের মধ্যে করা যায় কিনা; কেউ বলছে, জাতীয় নির্বাচনের পর করতে। তবে সবাই একটি বিষয়ে একমত হয়েছে যে, আমরা যেন ডাকসু নির্বাচনটা করি।

সহাবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, সহাবস্থানের জন্য যা যা করা দরকার প্রাধ্যক্ষবৃন্দ তা করবেন। এগুলো নতুন কিছু নয়। সবাই অবিজ্ঞ, যা করা দরকার তা করবেন। হলে সহাবস্থান ও মধুর ক্যান্টিনে রাজনৈতিক চর্চা সবার জন্য উন্মুক্ত, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement