২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হতাশাগ্রস্ত ছেলের হাতে মা খুন

হতাশাগ্রস্ত ছেলের হাতে মা খুন - সংগৃহীত

রাজধানীর দক্ষিণখানে বেকার হতাশাগ্রস্ত ছেলে হাতে খুন হয়েছে জাহানারা আক্তার লিলি (৪৮) এক মা। গত শনিবার রাতে ছেলে তানজির আহমেদ (২৫) তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ তানজির আহমেদকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, দক্ষিণখান কাওলাবাজার মধ্যপাড়া টিনসেড একটি বাড়িতে স্বামী আবু তাহের ও একমাত্র ছেলে কে নিয়ে ভাড়া থাকতেন লিলি। অনেক কষ্ট করে তানজিরকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছে তারা। কিন্তু পাশ করার পরও ছেলে কোন কাজ না করায় হতাশ হয়ে পড়েন বাবা-মা। এদিকে কোন চাকরি খুঁজে না পাওয়ায় তানজিরও হতাশায় থাকতেন। এই নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে প্রায় কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হতো। সংসারে আভাব থাকায় মা লিলি মাঝেমধ্যেই ছেলেকে বকাবকি করতেন। গত শনিবার রাতেও তাদের মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে তানজির ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা লিলির গলা চেপে ধরে। এতে শ্বাসরোধ হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে দক্ষিণখান থানা পুলিশ গভীর রাতে লিলির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। একই সাথে মাকে হত্যার অপরাধে ছেলে তানজিরকে গ্রেফতার করে।

দক্ষিনখান থানার ওসি তপন কুমার সাহা বলেন, একমাত্র ছেলে সন্তান ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেকার অবস্থায় জীবন-যাপন করছিল। চাকরি না পাওয়ায় তার মা-লিলি প্রায় সময় ছেলেকে বকাঝকা করতেন। শনিবার রাতে বকাঝকার একপর্যায়ে ছেলে তানজিল তার মা-য়ের গলায় গামছা পেচিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে এক হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় তানজিল কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কালিহাতীতে পুত্রের হাতে পিতা খুন

এর আগে টাঙ্গালের  কালিহাতীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রের হাতে পিতা খুন হয়েছেন। নিহতের নাম আব্দুল জব্বার (৬৫)। ২৬ মে গভির রাতে কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাচিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা পুত্র বিল্লাল হোসেনকে (২৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

কালিহাতী থানার এসআই ছানোয়ার হোসেন জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আব্দুল জব্বার সেহরী খাওয়ার জন্য উঠে প্রাকৃতিক কাজে বাইরে যান। ওই সময় পুত্র বিল্লাল হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন রাতেই ছেলেকে ধরে বেঁধে করে রাখেন এবং রোববার সকালে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল। পুত্র বিল্লাল হোসেন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানায় পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement