২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাদক নির্মূলে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সমাধান নয়: টিআইবি

মাদকবিরোধী অভিযানে অসাংবিধানিক পথ পরিহার করার দাবি টিআইবির - ছবি : সংগ্রহ

‘বন্দুকযুদ্ধ’ সমাধান নয়, বরং অধিকতর ঝুঁকির কারণ। এ অভিমত প্রকাশ করে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানে অসাংবিধানিক পথ পরিহার করে আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে শতাধিক কথিত ‘মাদকব্যবসায়ী’ নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে, এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে টিআইবি।

গতকাল এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ যেভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে, তাতে নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীতে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগসহ আইনের লঙ্ঘনের সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, সংবিধান সব নাগরিককে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার দিয়েছে। কথিত ‘গোয়েন্দা তথ্যের’ ভিত্তিতে তৈরি করা তালিকা ধরে মাদকবিরোধী যে অভিযান চলছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তা আইনগতভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রচলিত বিচারিকপ্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যেভাবে ‘তালিকা’ভুক্তরা নিহত হচ্ছেন, তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক। ‘আত্মরক্ষার’ জন্য ‘পাল্টা গুলি চালানোর’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তার সত্যতা নিরূপণে কোনো আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণের কথা আমাদের জানা নেই।

ক্ষেত্রবিশেষে অনেকেই প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে মাঠপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ও সেবনকারী চুনোপুঁটিরাই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ শিকার হচ্ছেন, মাদক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যারা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যদাতা হতে পারতেন। ফলে এক দিকে যেমন প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা নস্যাৎ হচ্ছে, অন্য দিকে মাদক ব্যবসায়ের মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। বরং দেশের বিদ্যমান আইন ও বিচারব্যবস্থা অনুসরণ করে বিশেষ করে মাদক সরবরাহ চেইনের রুই-কাতলাদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও নিষ্ঠার সাথে আইনের যথাযথ প্রয়োগই যথেষ্ট, আইনের লঙ্ঘন নয়।

ড. জামান বলেন, সারাবিশে^ কোথাও, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদক নিয়ন্ত্রণে বা অন্যকোনো অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর কোনো পদ্ধতি বলে প্রমাণিত হয়নি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আইনকে পাস কাটিয়ে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের সংস্কৃতি যেভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে, তা দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠতে পারে। একই সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় যেভাবে আইনের লঙ্ঘনকে অনানুষ্ঠানিক বৈধতা দেয়া হচ্ছে তা দেশের ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য অশনি সঙ্কেত।


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল