‘বন্দুকযুদ্ধে’ কাউন্সিলরসহ নিহত ৯
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ মে ২০১৮, ০৯:৫৯, আপডেট: ২৭ মে ২০১৮, ১২:১১
কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, ঝিনাইদহ ও নোয়াখালীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নয়জন নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন:
টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরাম নিহত
কক্সবাজার সংবাদদাতা জানান, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে ‘র্যাবের সাথে গুলিবিনিময়ের’ ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফে এবার নিহত হয়েছে কাউন্সিলর একরামুল হক (৪৬)।
টেকনাফ থানার নোয়াখালীপাড়া এলাকায় র্যাব ৭-এর একটি দলের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে। নিহত একরাম তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
র্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের নোয়াখালীপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাবের গুলিবিনিময় হয়। পরে সেখান থেকে তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হকের লাশ উদ্ধার হয়।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল নিহত একরামুল হকের অবস্থান জানতে পারে। অভিযান শুরু করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল মাদক ব্যবসায়ী র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ লাশ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও গুলির পাঁচটি খালি খোসা উদ্ধার করেছে র্যাব।
জানা গেছে, নিহত একরামুল হকের বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে শহরের মরাখোলায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক ভাগাভাগি করছে এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ ডিবির ওসির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে উল্লেখিত স্থানে পৌঁছলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। তখন তার (ডিবির ওসি) নির্দেশে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও গুলি ছোঁড়ে। ইতোমধ্যে বেতারে সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালী থানার ডিউটিরত মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে এসে গুলি ছোঁড়ে। উভয়ের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর এলাকায় তল্লাশীকালে অজ্ঞাত এক মাদক ব্যবসায়ীকে (২৫/২৬) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধে ডিবির কনস্টেবল হুমায়ুন ও আমীর হামজা গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন, ৪টি গুলির খোসা, ২টি রামদা, ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি ও থানা পুলিশ মোট ১৫ রাউন্ড কার্তুজ ফায়ার করে। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রজু প্রক্রিয়াধীন।
বাগেরহাট
বাগেরহাট ও চিতলমারী সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে মিথুল বিশ্বাস (৩২) নামের এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে।
আজ রোববার ভোরে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের পিংগুড়িয়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কেজি গাঁজা, ১০ পিস ইয়াবা, একটি শাটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। নিহত মিথুলের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক ও পুলিশের উপর হামলাসহ ২০ মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকুল বিশ্বাস জানান, চিতলামারী উপজেলার পিংগুড়িয়া এলাকার খোকা বিশ্বাসের ছেলে মিথুল বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছিল। শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ তার মাদক বিক্রির আস্তানায় হানা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিথুল পালিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশ আটক করে। পরে চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট মর্গে পাঠিয়েছে।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হালিম নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। কুষ্টিয়া শহরে নিশান মোড় হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি- বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় থানার সাব ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি শাটারাগান, একটি পাইপগান, ১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৮ শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় একটি মাদকচক্র মাদক কেনাবেচা করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে হালিম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হালিম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। সে সদর উপজেলার বড়িয়া এলাকার সলিম মন্ডলের পুত্র বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে।
চাঁদপুর
চাঁদপুর সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আজ রোববার ভোর রাত পৌণে ৩টার দিকে মতলব দক্ষিণ থানা ও ডিবি পুলিশের একটি যৌথ দল চাঁদপুর মতলব সড়কের হাজীর ডোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতটি মাদক মামলার আসামি সেলিমকে আটক করে। এ সময় সেলিমের সহযোগীরা পুলিশের উপর গুলি ও হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে সেলিম গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাকে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ ঘটনায় ৪ পুলিশ আহত হয়েছে। এ ছাড়া চার রাউন্ড গুলি, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, ১১০ পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
নিহত সেলিমের পিতার নাম সালামত উল্লাহ। মতলব দক্ষিন উপজেলার ৬ নং উপাদীতে তার বাড়ি।
এছাড়া আমাদের নোয়াখালী ও সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা একজন করে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর দিয়েছেন। (বিস্তারিত আসছে)
খুলনা
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবুল কালাম মোল্লা (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের খেয়াঘাট সংলগ্ন শ্মশানঘাটে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
নিহত কালাম যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ইছামতি গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার ছেলে। সে মাদকের পাইকারি বিক্রেতা ছিল বলে পুলিশ জানায়। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদক মামলা রয়েছে বলে খুলনার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, কালাম বারাকপুর গ্রামে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নদীর খেয়াঘাট সংলগ্ন শ্মশানঘাটে মাদক উদ্ধারে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে কালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি শটগান, চারটি ককটেল এক রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও নম্বর প্লেটবিহীন একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
নোয়াখালী
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার ভোর রাতের দিকে সোনাইমুড়ি বগাদিয়া ইস্তেমা মাঠ এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান বানুয়াই গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ২১টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৭ রাউন্ড কার্তুজ ও ১২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম জানান, রাত ৩টার দিকে বগাদিয়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে হাসান ও তার সহযোগীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলে হাসান মারা যায়। এ সময় তিন পুলিশ আহত হন বলে পুলিশ জানায়।
চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, সীতাকুণ্ডে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে আরো তিনজনকে।
শনিবার দিবাগত রাত ১টায় সময় উপজেলার গুলিয়াখালী সন্দ্বীপ ফেরীঘাট এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মোহাম্মদ রিহান (২৯)। তিনি মুরাদপুর ইউপির গোলাবাড়িয়া দীঘিরপাড় এলাকার মালিউল হকে ছেলে বলে জানা গেছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সীতাকু থানা পুলিশও শনিবার গভীর রাতে অভিযানে বের হয়। গোপন সূত্রে উপজেলার গুলিয়াখালী এলাকায় মাদক কারবারীদের একটি আস্তানার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের একটি দল পৌঁছে। ওসি তদন্ত মো: মোজাম্মেল হক জানান, পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে মাদক কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।
তিনি আরো জানান, এসময় সেখান থেকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমন উরফে কালা সুমন, জাফর ও টিটু নামে তিনজকে আটক করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে তাদের গড়ফাদার মোহাম্মদ রিহানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। রিহানের বিরুদ্ধে সীতাকু- থানায় মাদক ও ডাকাতির ৯টি মামলা রয়েছে। এঘটনায় এস আই মাহবুবসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের শৈলকুপার বড়দাহ গ্রামের জামতলা নামক স্থানে মাদক ব্যবসায়ীর দুগ্রুপের মধ্যে ‘গুলি বিনিময়কালে’ লিটন মোল্লা (৩৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তিনি একই উপজেলার শেখ পাড়া গ্রামের হাকিম মোল্লার ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ১০ বোতল ফেনসিডিল ও কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত আড়ইটার দিকে।
শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের দুইগ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়কালে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার গুলিবিদ্ধ লাশ, অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় নিহতের নাম লিটন মোল্লা। তার বিরুদ্ধে শৈলকুপা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার একজন শীর্ষ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা