২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমেই নিষিদ্ধ করলেন ‘বিরিয়ানি’

মিসবাহ-উল হক। - ছবি : সংগৃহীত

২০১৯ বিশ্বকাপ থেকেই ‘বিরিয়ানি’ শব্দটি উঠে আসে পাকিস্তান ক্রিকেট। সর্বপ্রথম পাকিস্তানের সাবেক গতি দানব শোয়েব আখতার এই বিরিয়ানি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সরফরাজদের। এবার নতুন দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর সেই ‘বিরিয়ানি’ নিষিদ্ধ করেছেন দলের প্রধান কোচ মিসাবাহ-উল হক।

পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ফিটনেস ঘাটতি দূর করতে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন নতুন কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ উল হক। ক্রিকেটারদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেজন্য আরোপ করছেন বেশকিছু বিধি-নিষেধ। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প- সবখানেই বিরিয়ানি, তেল-চর্বিযুক্ত এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার নিষিদ্ধ করেছেন দেশটির সাবেক তারকা মিসবাহ।

সবশেষ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে হয়েছিল নানরকম সমালোচনা। ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ক্রিকেটাররা প্রচুর পরিমাণে পিজ্জা ও বার্গার খেয়েছিল- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এমন অভিযোগ তুলেছিলেন দলটির ভক্ত-সমর্থকরা। আর ভারতের সঙ্গে ম্যাচ চলাকালে দলটির অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের হাই তোলা নিয়েও তৈরি হয়েছিল ব্যাপক হাস্যরস।

তবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস বিষয়ে কোনোরকম ছাড় দিতে রাজি নন মিসবাহ। নিজে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৪৩ বছর বয়স পর্যন্ত। এমনকি চলতি বছর প্রায় ৪৫ বছর বয়সেও ঘরোয়া লিগগুলোতে দাপট দেখিয়েছেন তিনি। ফলে ফিটনেসের গুরুত্ব এবং কীভাবে তা ধরে রাখতে হয়, সেটা খুব ভালোভাবে জানা রয়েছে মিসবাহর। তাই শিষ্যদের খাদ্যাভ্যাসের দৈনন্দিন তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন তিনি। জাতীয় দলের বাইরে থাকা অবস্থায়ও ক্রিকেটাররা যেন বিরিয়ানিতে মজে যেতে না পারেন, সেজন্য ঘরোয়া পর্যায়েও নিজের আদেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিসবাহ।

পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির আসর কায়েদ-ই-আযম ট্রফিতে খাবার সরবরাহ করার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের এক সদস্য সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন থেকে বিরিয়ানি, তেল-চর্বিযুক্ত এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার আর খেতে পারবেন না খেলোয়াড়রা।’

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ‘জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময় জাঙ্ক ফুড ও চর্বিযুক্ত ভারী খাবার খুব পছন্দ দলের ক্রিকেটারদের। কিন্তু মিসবাহ প্রত্যেককে বলে দিয়েছেন, খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং খাদ্যাভ্যাসের দৈনন্দিন তালিকা মেনে চলতে হবে, নইলে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।’

নতুন খাদ্য তালিকা অনুসারে, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে কাবাব, পাস্তা এবং প্রচুর ফলমূল সরবরাহ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement