১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন কোচ নিয়োগের আগে যা মাথায় রাখা উচিত

ডেভ হোয়াটমোর দীর্ষ সময় বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করেন - সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ নিয়োগের জন্য আবেদনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল ১৮ই জুলাই পর্যন্ত। নাম করা না হলেও বাংলাদেশের কোচ নিয়ে নানা সময় নানা বিতর্ক শোনা যায়। কোচ নিয়োগ নিয়ে যেমন বিতর্ক হয়, এরপর ক্রিকেটারদের সাথে সম্পর্ক ও বিদায়ের সময়ও নানা ধরণের বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে সফলভাবে কোচের দায়িত্ব পালন করার পরেও, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের পরে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব থেকে সমঝোতার মধ্য দিয়ে সরে দাঁড়াতে হয় স্টিভ রোডসকে। ঠিক কী ধরণের কোচ বাংলাদেশের নিয়োগ দেয়া উচিৎ?

যারা তরুণদের তৈরি করতে পারবেন

বাংলাদেশের ক্রিকেটে দেখা যায় অনেক ক্রিকেটার পুরোপুরি ঘরোয়া ক্রিকেটে তৈরি না হয়ে প্রতিভা দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় দলে একটা ঘষামাজার জায়গা থাকে, যেটা ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটীয় সংস্কৃতির সাথে বিপরীত।

"জাতীয় দলে এমন একজন কোচ আসা উচিৎ যিনি ক্রিকেটারদের শেখাতে পারবেন। কারণ এখানে নতুন ক্রিকেটাররা বেশি সুযোগ পান। এমন কেউ যদি আসেন যিনি নিজে পরিশ্রম করেন এবং পরিশ্রম করাতে পারবেন তাহলে ভালো হয়," বলছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার যিনি জাতীয় পর্যায়ের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি বলেন, "অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের সাথে তুলনা করলে আমাদের বেশ কিছু ক্রিকেটার পরিপক্ক না হয়ে দলে আসে, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়াতে অনেক পরিপক্ক হয়ে দলে ঢোকেন তাই অনেক বিষয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। লিটন, সৌম্য বা সাব্বিরের মতো ক্রিকেটারদের যারা পরিচর্যা করে ১০০% করে তুলতে পারবেন এমন কোচ প্রয়োজন।"

দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে

অনেক সময় বাংলাদেশ বা যেকোনো দেশের সংস্কৃতি ও ক্রিকেটের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে কোচদের সময় প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লক্ষ্য হাতে রেখে কোচ নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন শাহরিয়ার নাফিস।

তার মতে, ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং, তিন ধরণেরই কোচের দরকার হবে সেইসঙ্গে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি কোচ। যেহেতু চার বছর পরপর বিশ্বকাপ তাই এই দিকটায় গুরুত্ব দেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।

শাহরিয়ার নাফিস টেস্ট ক্রিকেটের প্রতিও বাড়তি নজর দেয়ার কথা বলেন, "টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতিকে গুরুত্ব দিয়ে সেভাবে কোচ নিয়োগ দেয়া উচিৎ। কারণ দেখা গিয়েছে বিশ্বকাপে যে চারটি দল সেমিফাইনালে খেলেছে চারটি দলই টেস্টে খুব ভালো।"

বাংলাদেশের কোচ হলে কেমন হয়?

নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, "দেশের কোচ হলে অনেক সুবিধা আছে, আমরা যদিও বাইরের কোচদের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ওদের সাথে আমাদের সংস্কৃতির পার্থক্য থাকে, ওদের খাপ খাইয়ে নিতে অনেক সময় লেগে যায়, অনেক সময় পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয় না।"

ফাহিমের পরামর্শ, যদি এ দলে বা সহকারী কোচ হিসেবে দেশের কোচরা থাকতো সেক্ষেত্রে ভালো হতো, নিজেদের কোচ হলে সুবিধা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল