২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ কেন উইলিয়ামসন

কেন উইরিয়ামসন। - ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ বিশ্বকাপ আসরে ব্যাট-বলে সেরা নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

উইলিয়ামসন শুধু ১০ ম্যাচে ৫৭৮ রান করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেননি, তাঁর ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক ভীষণ প্রশংসিতও হয়েছেন। তার সাথে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের দৌড়ে ছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক।

৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ২ সেঞ্চুরি ৫ ফিফটিতে সাকিবের রান ৬০৬। বাঁ হাতি স্পিনে নিয়েছেন ১১ উইকেট।

গত বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার উঠেছিল স্টার্কের হাতে। ২২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছিলেন। এবার তো আরও বেশি উইকেট পেয়েছেন—২৭টি। টুর্নামেন্ট-সেরার দৌঁড়ে তিনি অনেক এগিয়ে ছিলেন।

আরো পড়ুন..

দৌড়ালেন মার্ক উড! দৌড় উসাইন বোল্টকে হার মানানোর মতোই ছিলো। কিন্তু নিউজল্যান্ডের কাছে তার রেস হেরে গেছে। জেমস নিশামের থ্রো ঠিকভাবেই বোলার বোল্ট ধরে স্ট্যাম্প স্পর্শ করে দলকেও টিকিয়ে রাখলেন। ইনিংসের শেষ ওভারে ২ রান দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। স্টোকস মিড অনে ঠুকে দিয়ে দুই রান নিতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। দৌড়ে পারেননি নন স্ট্রাইকে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান মার্ক উড। এক রান বৈধ হলে খেলা হয়ে যায় ড্র। তাতে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভার

আাগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নামেন দুই বিধ্বংসী জস বাটলার ও বেন স্টোকস। অপরদিকে বল হাতে আসেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান তাকে মোকাবেলা করে সুপার ওভারে তোলেন ১৫ রান। আর তাতে নিউজিল্যান্ডর জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান।

লক্ষ্য পাড়ি দিতে ব্যাট হাতে নামেন দুই কিউই ব্যাটসম্যান মর্টিন গাপটিল ও জেমস নিশাম। আর বল হাতে আসেন ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার। বল হাতে ওয়াইড দিয়ে শুরু করেন। প্রথম বলে বলে দুই রান নিলেন নিশাম। তৃতীয় বলে ছক্কা। পরের বলে আবার দুই। চতুর্থ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান ! লাস্ট দুই বলে দরকার ৩ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে এক রান নিতে পারেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। হিসেব দাঁড়ায় শেষ বলে ২ রান। গাপটিল মেষ বলে কাউ কর্নারের দিকে ঠেলে দিয়েছেন কিন্তু  দুই রান নিতে পারেননি। রয়ের থ্রোতে উইকেটরক্ষক বাটলার স্ট্যাম্পে বল লাগাতে ভুল করেননি। এক রান নিতে সক্ষম হয় কিউই ব্যাটসম্যানরা। আউট হন গাপটিল। খেলা ড্র হয়ে যায় এক রান নেয়ার সুবাধে।

কিন্তু মূল খেলায় বাউন্ডারি গণণায় ইংল্যান্ড ছিলো কিউইদের থেকে এগিয়ে। ম্যাচে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মোট বাউন্ডারি পায় ১৬টি। অন্য দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কায় মারে ইংল্যান্ড। যে কারণে সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। 

আর তাতে টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে বাউন্ডি কাউন্টে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে নিলো ইংল্যান্ড।

 


আরো সংবাদ



premium cement