২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেমিফাইনালে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ

সেমিফাইনালে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ - ছবি : ইএসপিএনক্রিকইনফো

বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেই ভালো না হলেও সেমিফাইনালে লড়াইয়ে এখনো পাকিস্তানের আশা দেখছেন কোচ মিকি আর্থার।
প্রথম পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই পরাজিত হওয়া ১৯৯২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা খাদের একেবারে কিনারায় চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রোববার ৪৯ রানের রানের জয় শেষ চারে পাকিস্তানের স্বপ্ন আবারো নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে বাকি তিনটি ম্যাচে জিততে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে।
১০ জাতির এবারের আসরে ফেবারিট অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডকে পিছনে ফেলে এখনো টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের পরে পাকিস্তানের অবস্থান সপ্তম।

ইংল্যান্ড যদি অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী তিনটি ম্যাচেই পরাজিত হয় তবে শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে যাবে। এমনকি টেবিলের শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডও যদি তাদের বাকি তিনটি ম্যাচে পরাজিত হয় তবে তাদেরও টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আর এসবই পাকিস্তানকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আর্থার বলেন, ‘নি:সন্দেহে আমরা বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আছি। অবশ্যই আমাদের ভাগ্য অনেকটাই অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের উপর নির্ভর করছে। তবে আমাদেরও বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে।’
ইংল্যান্ডকে টুর্নামেন্টের শুরুতে পরাজিত করে বিস্ময় সৃষ্টি করা পাকিস্তান নিজেদের দিনে যেকোন দলকেই পরাজিত করার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন আর্থার। এ সম্পর্কে আর্থার বলেছেন, ‘আমরা যখন নিজেদের সেরা খেলাটা খেলি তখন যেকোন দলকেই পরাজিত করার ক্ষমতা রাখি। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশের বিপক্ষে বাকি তিনটি ম্যাচের জন্যই এটা প্রযোজ্য। বিশ্বকাপে অন্য দলগুলোর মতই আমাদেরও যোগ্যতা আছে।’

গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টারে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের পর পাকিস্তান লড়াইয়ে ফিরেছে বলে মনে করেন আর্থার। তিনি বলেন, ‘ঐ পরাজয়ে আমরা সবাই অত্যন্ত হতাশ হয়েছি। ছেলেরা রাতে ঘুমাতে পারেনি। কিন্তু এরপর প্রতিদিনই তারা অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ী হয়ে আমরা তার পুরস্কার পেয়েছি।’
তবে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের এখনো অনেক উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাঁচটি ক্যাচ ফেলেছে ফিল্ডাররা, এর মধ্যে তিনটি ছিল মোহাম্মদ আমিরের বোলিংয়ে। এ প্রসঙ্গে আর্থার বলেন, ‘আমাদের সমস্যা হচ্ছে কোন ম্যাচেই তিনটি বিভাগে আমরা একসাথে ভাল করতে পারছিনা। বোলিং-ব্যাটিং ভাল হলেও ফিল্ডিংয়ে সমস্যা হচ্ছে। সে কারনে যখন তিনটিতেই ভাল করতে পারবো আমাদের পারফরমেন্সেরও উন্নতি হবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা এভাবেই এসেছিল।’
এদিকে গতকাল জয়ের পর পাকিস্তানী অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান হারিস সোহেলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘এই ম্যাচটিতে খেলার জন্য হারিস মুখিয়ে ছিল। তার ব্যাটিংই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। শেষ ১৫ ওভারে সে যেভাবে খেলেছে তা অনেকটাই জস বাটলারের মতো ছিল।’

শেষ ১৫ ওভারে পাকিস্তান ১২৪ রান সংগ্রহ করেছে। ৫৯ বলে সোহেল নয়টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারির সহায়তায় ৮৯ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস উপহার দিয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে বাবর আজমের (৬৯) সাথে ৮১ ও পঞ্চম উইকেটে ইমাদ ওয়াসিমের (২৩) সালে ৭১ রানের জুটি গড়ে তুলেন সোহের। এর ফলে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে। এরপর বোলিংয়ে ওয়াহাব রিয়াজ (৩-৪৬), শাদাব খান (৩-৫০) ও মোহাম্মদ আমিরের (২-৪৯) তোপের মুখে প্রোটিয়াদের ইনিংস ৯ উইকেটে ২৫৯ রানেই গুটিয়ে যায়। ৪৯ রানের পরাজয়ে কার্যত প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের ম্যাচটি থেকে শোয়েব মালিক ও হাসান আলির পরিবর্তে পাকিস্তান হারিস সোহেল ও ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দলভূক্ত করেছিল।
সূত্র : এএফপি

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল