২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভারতের বিপক্ষে ফের ‘জ্বলে’ উঠলেন ফখর

- ছবি : সংগৃহীত

ভারতের দেয়া ৩৩৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য পড়ি দিতে নেমে শুরুতে ইমাম উল হকের আউটে চাপে পড়ে গেলেও, ফখর জামান ও বাবর আজমে ব্যাটে ম্যাচে ফিরছে পাকিস্তান। দুজনের জুটিতে আসে ১০০ রান। ফখর তুলে নিলেন অর্ধশতক। ৫৮ রান নিয়ে ফখর জামান ও ৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন বাবর আজম।

পাক-ভারত ব্যাট-বলের ময়াদানি লড়াইয়ে পাকিস্তানের সামনে ৩৩৭ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে ভারত। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শার্মার (১৪০) ও বিরাট কোহলির (৭৭) রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান সংগ্রহ করে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।

বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচকেও হার মানায়, সেরকমই একটি ম্যাচ ভারত-পাকিস্তানের এই মহারণ। খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই ভক্ত-ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সাবেকদের ঘুম নেই এই উত্তেজনায়। তার ওপর ম্যাচটি যদি হয় বিশ্বকাপ আসরের কোনো খেলা, তাহলে উদগ্রীবের মাত্রাটা বেড়ে যায় অনেকখানি বেশি। এই ম্যাচটি উত্তেজনা বাড়ানোর আরো একটি বড় কারণ হলো, ম্যাচটি শুধু খেলায় সীমাবদ্ধ থাকে না। দুই দেশের ভৌগলিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলে আসে এর চাপ। তাই দু’দেশের মান-সম্মানের লড়াইও বটে এটি।

সেরকমই পরিস্থিতি নিয়ে রোববার ম্যানচেস্টার ওল্ড ট্রাফোর্ডে সকাল ১০টায় (বংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩ টায়)মাঠে নামে ভারত ও পাকিস্তান। টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।

ভারতীয় টপ অর্ডারদের রুখতে পাক অধিনায়ক শুরুতেই আক্রমণে আনেন দলের সেরা বোলিং অস্ত্র বামহাতি পেসার মোহাম্মাদ আমিরকে। তাতে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শার্মা ও লোকেশ রাহুলও শুরু করেন সাবধানীভাবে। তাড়াহুড়ো না করে ভালো বলকে দিয়েছেন যথাযথ সম্মান, আবার খারাপ বল পেলেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন যোগ্য পাওনা।

দেখে-শুনে খেলায় পাক বোলারদের সামনে উইকেট পাওয়ার ভালো কোনো সুযোগও দিচ্ছিলো না ভারতীয় দুই ওপেনার। তবে ইনিংসে ওয়াহাব রিয়াজের করা দশম ওভারের প্রথম বলেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল; কিন্তু পাকিস্তানি ফিল্ডার ফখর জামানের ভুলে জীবন পেয়ে যান রোহিত শর্মা। আর তাতে পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে ৫৩ রান তুলে নেয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ১৮ ওভারেই তুলে নেয় দলীয় শতক। অপ্রতিরোধ্য ভারতীয় দুই ওপেনারকে একে একে সব অস্ত্র ব্যাবহার করেছেন সরফরাজ আহমেদ; কিন্তু কোনোভাবেই সাফল্য এনে দিতে পারেনি বোলাররা। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে প্রথম আঘাত হানেন পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ওয়াহাবের দুর্দন্ত এক ডেলিভারিতে বাবর আজমের তালুবন্দী হয়ে ৫৭ রান করে ফেরেন লোকেশ রাহুল। ২৩.৫ ওভারে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১৩৬ রান।

রাহুল আউট হলে ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি। এবার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রোহিতের সঙ্গে জমে উঠে বিরাটের জুটি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রোহিত শার্মা তুলে নেন ২০১৯ বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। শতক হাঁকিয়ে হয়ে ওঠেন আরে বিধ্বংসী। রোহিত শেষ পর্যন্ত ১১৩ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে করেন ১৪০ রান। ৩৯তম ওভার করতে আসা হাসান আলিকে বেদড়ক পেটাতে গিয়ে ওয়াহাব রিয়াজের তালুবন্দী হয়ে ফেরেন রোহিত। কোহলি-রোহিতের এই জুটি থেকে আসে ৯৮ রান। ঝড় উঠাতে পান্ডিয়াকে ব্যাট করতে নেমানো হয় ৪ নাম্বার পজিশনে। ঝড়ের আভাস দিয়েও ১৯ বলে ২৬ রান করে আমিরের বলে বাবর আজমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পান্ডিয়া। কোহলি তুলে নিয়েছেন নিজের ফিফটির অর্ধশতক। ৬৫ বলে ৭৭ রান করেন কোহলিও ফিরে যান আমিরের শিকার হয়ে। এক রান করে ফিরে যান মহেন্দ্র সিং ধোনিও। শেষ দিকে বিজয় শঙ্করের ১৫ ও কেদার যাদবের ৯ রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় কারায় পাকিস্তানের সামনে।

পাকিস্তানী বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির ৩টি, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি  একটি করে উইকেট শিকার করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement