১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের গত ৫টি ম্যাচ

-

এবারের বিশ্বকাপের ১৫তম ম্যাচে সোমবার সাউদাম্পটনে মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের আসরে এ পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেরেছে তিনটিতেই। অপরদিকে দুটি ম্যাচ খেলে একটিতে জয় ও অপরটিতে পরাজিত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এখন দেখে নেয়া যাক দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের গত পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচের ফলাফল কী ছিল-

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজে তৃতীয় সিরিজে ‍মুখোমুখি হয়েছিল দল দু’টি। জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে ছিল ১০০ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৮৫ রানের বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকা করতে পেরেছিল ১৮৫ রান।

সে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেছিলেন ডরেন ব্রাভো। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ছিল কিরন পোলার্ডের ৬২ রান, জেসন হোল্ডারের ৪০ ও কার্লোস ব্রাথওয়াইটের ৩৩ রান।

জবাবে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করতে পেরেছিলেন ফারহান বেহারডিয়েন। এছাড়া উল্লেখ করার মতো রান ছিল মরনে মরকেলের অপরাজিত ৩২ রান ও ইমরান তাহিরের ২৯ রান।

ওই সিরিজেই ১৫ জুনের ম্যাচে ১৩৯ রানে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সংগ্রহ ছিল চার উইকেটে ৩৪৩। উল্লেখযোগ্য ছিল- হাশিম আমলার ১১০ রান, কুইনটন ডি ককের ৭১ রান, ফাফ ডু প্লেসিসের অপরাজিত ৭৩ রান ও ক্রিস মরিসের ৪০ রান।

জবাবে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জনসন চার্লিস সর্বোচ্চ করেছিলেন ৪৯ রান। এছাড়া উল্লেখ করার মতো ছিল, মারলন সামুয়েলসের ২৪ রান, আন্দ্রে ফ্লেচারের ২১ রান ও কিরন পোলার্ডের ২০ রান।

সে ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির।

ওই সিরিজেই প্রথমবার দল দুটি মুখোমুখি হয়েছিল ৩ জুন। চার উইকেটে জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভার ব্যাট করে ১৮৮ রান করেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের ছয়টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারিন।

তবে জয় পেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও কম ঘাম ঝড়াতে হয়নি। খেলতে হয় ৪৮.১ ওভার, হারায় ৬ উইকেট।

ম্যাচের সর্বোচ্চ ৬৭ রান ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিরেন পোলার্ডের। তিনি শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রোশোর ছিল ৬১ রান।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

২৭ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে হওয়া এ ম্যাচে পাঁচ উইকেটে ৪০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। মারমুখী এবি ডি ভিলিয়ার্স করেছিলেন ১৬২ রান। এ রান এসেছিল ৬৬টি বল থেকে।

৪০৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৩.১ ওভারেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। তাদের মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ১৫১ রান। তাদের ৫টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ইমরান তাহির।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি সফরকালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে ম্যাচে জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরাই।

দিবা-রাত্রির ওই ম্যাচে ৪২ ওভার খেলেছিলেন স্বাগতিকরা। তাদের মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ৩৬১ রান। অধিনায়ক হাসিম আমলা করেছিলেন ১৩৩ রান আর রোশো করেছিলেন ১৩২ রান।

জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৭.৪ ওভারে ২৩০ রান করে অলআউট হয়ে যায়। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ করেছিলেন সামুয়েলস। তাদের চারটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ওয়েইনি পারনেল।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল