২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের ম্যাক্সওয়েল হতে পারবেন মোসাদ্দেক?

বাংলাদেশের ম্যাক্সওয়েল হতে পারবেন মোসাদ্দেক? - সংগৃহীত

"একটা ম্যাচ দিয়ে একজন খেলোয়াড়কে বিচার করা খুব কঠিন," আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ক্রিকেটের ফাইনালে ঝড় তোলা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সম্পর্কে বলছিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ একজন কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

"এক ওভারে ২৫ রান তুলেছে, সেটা প্রমাণ করে যে ওর হাতে স্ট্রোক আছে, কিন্তু এক ম্যাচ দিয়ে বিবেচনা করা কঠিন," আবারও বলেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

মূলত একটু নিচে নেমে স্ট্রোক খেলার সক্ষমতার বিষয়টিতে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট আদর্শ মনে করে সাব্বির রহমানকে। তবে নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন বাংলাদেশের সামনে একটি বিকল্পও চলে এসেছে - "সৈকত যখন সেখানে নেমে এই ধরণের ইনিংস খেলেছে, সেটা বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির ব্যাপার।"

"তবে এটা আরও কয়েকবার করতে পারলে এ বিষয়টিতে ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত হতে পারবে - দল গঠন করা তখন সহজ হবে, সাথে কিছু বোলিংও করতে পারবে ও," বলছিলেন ফাহিম।

বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ আলোচনায় মোসাদ্দেক

বাংলাদেশ পুরুষদের জাতীয় ক্রিকেট দলটি তাদের ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতেছে বিশ্বকাপের ঠিক আগে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচ ২৪ ওভারে নেমে আসার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪ ওভার ব্যাট করে ১৫২ রান তুলেছিল, পরে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১০ রান।

২৪ ওভারে ২১০ রান বাংলাদেশের জন্য বেশ বড় একটি লক্ষ্যই ছিল। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত যখন ব্যাট করতে নামেন তখন দলের সংগ্রহ ছিল ১৫.৪ ওভারে ১৪৩ রান, হাতে পাচঁ উইকেট।

এসময় পাচঁটি ছক্কা হাকিঁয়ে ২৭ বলে ৫২ রান তুলে ৭ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশকে জয় এনে দেন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। ফলে বাড়তি পাওনা হিসেবে বিশ্বকাপের আগে তাকে নিয়েই শুরু হয় আলোচনা - হয়তো এক ধরণের বাড়তি প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছে তাকে ঘিরে।

মোসাদ্দেকের ক্যারিয়ার কেমন ছিল?

২০১৬ সালে অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ভাবা হতো 'বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সাকিব আল হাসান' হিসেবে। শুরুটাও ভালো করছিলেন মোসাদ্দেক - আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০০ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৪৫, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৩৮।

এরপর ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রান তোলেন সৈকত। কিন্তু ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দলে আসা যাওয়ার মধ্যে আছেন মোসাদ্দেক - যার ফলে এই বিশ্বকাপে খেলবেন কি-না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

মোসাদ্দেক তার ঘরোয়া ক্যারিয়ার জুড়ে ফিনিশার হিসেবে বেশ পরিচিত। আবাহনীর হয়ে হরহামেশাই ইনিংস মেরামত ও দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব অনেক সময়ই পড়েছে মোসাদ্দেকের ওপর। বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট এনে দিতে পারেন এই অলরাউন্ডার।

ঠিক একই ধরণের ক্রিকেটীয় ক্ষমতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ফলে ক্রিকেট বিশ্বকাপে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দিকে আলাদা নজর থাকবে সবার, এমনটা মনে করেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement