২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রেকর্ড ভাঙলেও খুশি, না ভাঙাতেও খুশি: আশরাফুল

- ছবি : সংগৃহীত

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে অল্পের জন্য মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবদুর রাজ্জাকের করা দেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। শুরুতে অবশ্য মোসাদ্দেক নতুন রেকর্ড গড়েছেন বলেই দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। আসলে তাতে ছিল তথ্য বিভ্রাট।

বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে সবার ওপরে এখনো তাই মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ বলে ফিফটি করেন দেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপার স্টার। ২০১৩ সালে যে রেকর্ডে ভাগ বসান আবদুর রাজ্জাক। তিনি ২১ বলে ফিফটি করেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

নিজের রেকর্ডটি এখনো টিকে থাকায় ভালো লাগার কথাই প্রকাশ করলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, মোসাদ্দেক রেকর্ড ভাঙলে খুশিই হতেন তিনি। তবে না ভাঙায়ও খুশিই লাগছে তার। নিজের রেকর্ডটি যে এখনো টিকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মোসাদ্দেক হোসেন ২৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। তবে শুরুতে ২০ বলে তিনি ফিফটি করেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়। ক্রিকইনফোর মতো নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটও মোসাদ্দেকের ২০ বলে ফিফটিকে শিরোনাম করেছিল। পরে অবশ্য ২৩ বলে ফিফটিই দেখানো হয়েছে।

নিজের রেকর্ড টিকে থাকা নিয়ে জানতে চাইলে আশরাফুল শুরুতে বেশ খানিক হাসলেন। এরপর এভাবে বললেন, ‘‘বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে এটাই বড় কথা। আর রেকর্ড তো হয় ভাঙার জন্যই। মোসাদ্দেক ভাঙলে খুশি হতাম। আবার হয়নি এটাতেও মন খারাপ নেই। ম্যাচ তো জিতেছি আমরা। দল জিতেছে, আবার আমার রেকর্ডও থেকে গেছে। দুটিতেই ভালো লাগা আছে।’’

এরপর আশরাফুল বললেন, টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়ে। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে শিরোপা জয় নিয়ে বললেন, ‘‘আয়ারল্যান্ডে এই সিরিজ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দেবে। যারা খেলার সুযোগ পেয়েছে, তাদের সবাইকে সেরা ফর্মে দেখা গেছে। এটা একটা পজিটিভ দিক।’’

তবে বিশ্বকাপে যে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে সেটিও মনে করিয়ে দিলেন আশরাফুল, ‘‘তবে বিশ্বকাপ তো একটু ভিন্ন হবেই। আমরা আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে যেন ভালো করতে পারি সেদিকে লক্ষ্য থাকতে হবে।’’

‘‘কারণ আমরা ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজ দেখলাম, সেখানে তিন শ রান খুব সহজেই হয়েছে। এবং সেটা চেজও হয়েছে।’’- যোগ করে বলেন আশরাফুল।

বিশ্বকাপের আগে ২৬ মে কার্ডিফে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৮ মে একই ভেন্যুতে খেলবে ভারতের বিপক্ষে। ৩০ মে শুরু হবে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ নিজেদের মিশন শুরু করবে ২ জুন, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল