২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এভাবে খেললে বিশ্বকাপে ভালো ফল পাবো : মোসাদ্দেক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনালে ফিফটির পর মোসাদ্দেকের উদযাপন - এএফপি

২২ তম ওভারে ফ্যাবিয়েন অ্যালানের প্রথম বলেই রিভার্স হিট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছক্কা। পরের বলে অনেকটাই প্রথাগত শট। এগিয়ে এসে লং অফ দিয়ে আরেক ছক্কা। নড়েচড়ে বসতেই হলো। বিশেষ কিছু কি হতে যাচ্ছে? অ্যালান বুদ্ধি করে দ্রুতগতির বল ছাড়লেন। কিন্তু তার চেয়েও বেশি বুদ্ধি দেখিয়ে চার মারলেন মোসাদ্দেক। চতুর্থ বলেও মোসাদ্দেক থামলেন না। কভার দিয়ে ছক্কা! ম্যাচ নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সব অনিশ্চয়তা ততক্ষণে শেষ। তখন অন্য কিছুর অপেক্ষা। ১৯ বলে ৪৮ রান তখন মোসাদ্দেকের।

ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের ওই এক ওভারে মোসাদ্দেকের তাণ্ডবই দলকে এনে দেয় প্রথমবারের মত কোনো ফাইনাল ম্যাচ জয়ের স্বস্তি। ২২তম ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৫ রান নিয়ে দলের জয়কে হাতের মুঠোয় এনে দেন সৈকত।

উড়ন্ত সূচনার পরও শেষের দিকে এসে দ্রুত পঞ্চম উইকেটের পতনে আবারো ফাইনালের জয় নিয়ে সৃষ্টি হয় শঙ্কার। মাহমুদউল্লাহ উইকেটে থাকাতেই ভরসা মিলছিল। অন্য প্রান্তে থাকা মোসাদ্দেক তখনো অতিথি চরিত্র, পার্শ্বনায়ক। দলকে জয় এনে দেয়ার কাজটা তো মাহমুদউল্লাহকেই করতে হবে! কিন্তু কে জানতো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এভাবে খেলে, ওয়স্ট ইণ্ডিজের বোলারদের ওপর তাণ্ডব করে, রেকর্ড করে দলকে জয় এনে দিয়ে মাহমুদউল্লাহকেই ‘পার্শ্বনায়ক’ বানিয়ে দিবেন!

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি এখন মোসাদ্দেক হোসেনের। করলেনও এমন সময়ে, যখন উড়ন্ত সূচনার পরও ইনিংসের মাঝপথে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্য জয়টা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছিল।

এমন দুর্দান্ত জয়ের পর জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কারও। পরে সংবাদমাধ্যমে মোসাদ্দেক বলেন,‘এটা অনেক ভালো লাগার ব্যাপার (ম্যাচ সেরা হওয়া)। আমরা প্রথম কাপ জিতলাম, সেটিও দেশের বাইরে। আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিশ্বকাপের আগে অনেক আত্মবিশ্বাস আমরা পেয়েছি।’

ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের করা ২২ তম ওভার নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন,‘ওই ওভারটাই ছিল আমাদের ম্যাচ জয়ে টার্নিং পয়েন্ট। ওই ওভারের পর সবাই বুঝে গেছে ম্যাচের ফল কী হতে যাচ্ছে।’

২৪ ওভারে ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘যখন ফিল্ডিং শেষ করে এলাম, তখন মাশরাফি-মুশফিক-তামিম-রিয়াদ ভাই বলছিলেন, আমাদের যে ব্যাটিং সামর্থ্য আছে, পুরো টুর্নামেন্টে আমরা যেমন ব্যাটিং করেছি, যদি আমরা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারি, তাহলে এই রান তাড়া করা সম্ভব।’

মোসাদ্দেক আরো বলেন,‘প্রথম একটা শিরোপা জিতেছি, এটা অনেক ভালো লাগার বিষয়। সেটাও আবার বিদেশের মাটিতে, ভালো একটা দলের বিপক্ষে। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা প্রস্তুতি হলো। এভাবে খেলতে পারলে বিশ্বকাপে আশা করি ভালো একটা ফল পাব।’


আরো সংবাদ



premium cement