২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশেষ বার্তা দিয়ে বর্জ্য থেকে তৈরি শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জার্সি

২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার চূড়ান্ত জার্সি। - ছবি : সংগৃহীত

প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে বিশ্বকাপ জার্সি তৈরী করে বিশেষ আকর্ষণে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জার্সি। শুক্রবার কলম্বোর তাজ সমুদ্র হোটেলে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন করা হয়। তবে এই জার্সি দ্বারা অভিনব বার্তা দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।

উন্মোচনের পরই জার্সি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের জন্য উন্মোচন হওয়া জার্সিগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার জার্সি আলাদা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।

এর কারণ হিসেবে জানা যায়, সমুদ্রে ফেলা প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি করা এই জার্সি। সমুদ্রকে বাঁচানোর জন্য বিশ্বকাপ জার্সিকে একটি বার্তা হিসেবে ব্যবহার করেছে দ্বীপদেশটি। যা ক্রিকেট বিশ্বে বেশ প্রশংসাও পেয়েছে। এছাড়াও বিপন্নপ্রায় প্রাণী কচ্ছপের ছবি সম্বলিত জার্সি বানিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। তিনটি কচ্ছপ যাচ্ছে সমুদ্রের দিকে। এটা দিয়ে সচেতন করা হয়েছে সমুদ্র দূষণকারীদের। লঙ্কানরা এই বিষয়টিকে এতটাই গুরত্ব দিয়েছেন যে, তাদের জাতীয় পতাকায় থাকা সিংহের স্থান দিয়েছে হাতায়। অবশ্য ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে লঙ্কানদের জার্সির হাতাতেই ছিল সিংহ।

দেশটির সমুদ্রে বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়া হয় প্রচুর প্লাস্টিক। যে কারণে শ্রীলঙ্কায় প্রচুর কচ্ছপ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়েছে। এ দিক বিবেচনায় নিয়েই লঙ্কানদের জার্সিতে স্থান পেয়েছে কচ্ছপ।

যে জার্সি পরে দল ম্যাচ খেলতে নামবে তাতে রয়েছে প্রচলিত গাঢ় নীল ও হলুদ রঙের মিশ্রণ। জার্সির বুকে বড় করে সাদা রঙে লেখা রয়েছে ‘শ্রীলংকা’। অনুশীলনের জার্সিতে নীল ও কালো রঙের মত গাঢ় রঙের আধিক্য। এর বুকে রয়েছে দলের স্পন্সর কেন্ট মিনারেল ওয়াটার পিউরিফায়ারের লোগো।

সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপদেশটিতে প্রতিবছর পর্যটক হিসেবে আসেন অসংখ্য মানুষ। শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে ফেলে দেয়া অপচনশীল প্লাস্টিক থেকেই তৈরি করা হয়েছে জার্সিটি।

সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েও যে বিশ্বকাপের জার্সি বানানো যায় তা করে দেখালেন লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল