২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২৪৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় প্রসাধনী কোম্পানির বিরুদ্ধে

- ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে প্রসাধনী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের। ট্যালকম পাউডারভিত্তিক নানা ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে অনেক। গত বুধবার কোম্পানিটির বিরুদ্ধে যুগান্তকারী এক রায় দিয়েছেন মার্কিন এক আদালত।

মার্কিন এক নারী অভিযোগ তুলেছিলেন এ কোম্পানির পাউডার ব্যবহার করেই মেসোথ্যালমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। গত বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সুপিরিয়র কোর্ট নির্দেশ দেয়, টেরি লিয়াভিট নামের ওই নারীকে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৪৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানিকে। সুপিরিয়ার কোর্টের এ নির্দেশকে যুগান্তকারী বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

দেশ জুড়ে ১৩০০০-এরও বেশি অভিযোগ জমা হয়েছিল কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক এই রায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নতুন পথের সন্ধান দেবে।

জনসন অ্যান্ড জনসন অবশ্য তাদের প্রোডাক্ট থেকে ক্যানসার হয় এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করছে, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের ওপরে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও অ্যাসবেস্টসমুক্ত। শুনানির সময় তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে দেয়া প্রমাণের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর কথাও বলেন তারা।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রসাধনী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে চলে আসে। এতে বলা হয়, জনসন বেবি পাউডারে রয়েছে অ্যাসবেস্টসের মতো ক্ষতিকর খনিজ পদার্থ। উচ্চ তাপ শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ খনিজ পদার্থটি শরীরে ঢুকলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এ তথ্য গোপন করেই বছরের পর বছর ধরে বেবি পাউডার বিক্রি করে গিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। সূত্র : গার্ডিয়ান

আরো পড়ুন : ক্ষতিপূরণ!
নয়া দিগন্ত ডেস্ক, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

হাইতির অভিবাসী মেরি জেন পিয়ের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির একটি বিলাসবহুল হোটেলে বাসন ধোয়ার কাজ করছেন তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই এবার প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেতে চলেছেন তিনি! 

জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববার মেরিকে কাজ করতে জোর করাতেই শাস্তিস্বরূপ এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষকে। মেরি জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে এই হোটেলে কাজে যোগ দেয়ার সময়েই তিনি জানিয়েছিলেন যে প্রতি রোববার চার্চে তার বিশেষ প্রার্থনা থাকে। তাই তার পক্ষে কিছুতেই রোববার কাজ করা সম্ভব নয়। ২০১৫ অবধি হোটেল কর্তৃপক্ষ তার এই কথা মেনে নিয়েছিলেন।

কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় তার পরেই। হোটেল কর্তৃপক্ষ রোববারেই কাজ করার জন্য জোর করতে থাকে মেরিকে। বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন-নিবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। বরং কর্তৃপক্ষ মেরিকে বলেন অন্য সহকর্মীদের অনুরোধ করতে যাতে রোববার তাকে ছুটি নেয়ার সুবিধা তারা করে দেন।

কিন্তু পরিস্থিতি হঠাৎই খারাপ হয় ২০১৬ সালের মার্চ মাসে হঠাৎ মেরিকে কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেয়া হলে। তার পরেই আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। এর পরেই গত সোমবার সেই মামলার রায়ে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষকে। মেরির কাজের পাওনা ও মানসিক দ্বন্দ্বের ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ২১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৭০ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয় সেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement