২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মসজিদে হামলা : দলের জন্য দোয়া চেয়েছেন তামিম

ক্রিকেট
তামিম ইকবাল - ফাইল ছবি

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা। এ দু’টি মসজিদের একটিতে তাদের জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন না। কিন্তু সেখানে পৌঁছার আগেই এ ঘটনা ঘটায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তারা।

ওই ঘটনাকে ‘ভীতিকর অভিজ্ঞতা’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য তামিম ইকবাল। তিনি পুরো দলের জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।

আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুম্মার নামাজের সময় আল নূর নামের ক্রাইস্টচার্চের ওই মসজিদে বন্দুকধারী হামলা চালায়। লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া বাংলাদেশ দলের সবাই মাঠে অনুশীলনে ছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ে যান। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় একজন তাদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেন। বলেন, এখানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা এ সময় দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। খেলোয়াড়দের সবাইকে মাঠের ভেতর থাকতে বলা হয়েছে।

এ ঘটনার পর ক্রিকেটার তামিম ইকবাল টুইটে জানান, এটা তাদের জন্য ‘ভীতিকর অভিজ্ঞতা’ ছিল, বন্দুকধারীরা সেখানে হামলা চালিয়েছিল।

তামিম টুইটে লেখেন, ‘পুরো দল বন্দুকধারীর হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এটা ভীতিকর অভিজ্ঞতা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে, এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমঝোতার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে। আগামীকাল শনিবার থেকে এই টেস্ট ম্যাচটি শুরুর কথা ছিল।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল টুইট বার্তায়ও ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানায়,‘ক্রাইস্টচার্চে আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে যারা পরিবার ও বন্ধুদের হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল হয়েছে। দুই দলের ক্রিকেটাররা নিরাপদে আছেন।’

হামলার সময় মসজিদটির খুব কাছেই ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদ আল নূর-এ যাচ্ছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে মসজিদে পৌঁছাতে ৫ মিনিট দেরি হওয়ায় হামলা থেকে বেঁচে যান ক্রিকেটাররা। এই ঘটনার পর ক্রিকেটাদের কেউই নিউজিল্যান্ডে থাকতে চাইছেন না বলে জানা গেছে।

এদিকে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না তারা এখন ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থায় আছে। তারা যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চায়। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি যা শুনছি তা থেকেই বলছি।’

বাংলাদেশ দলের সদস্যরা কবে দেশে ফিরবেন, সে ব্যাপারে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।


আরো সংবাদ



premium cement