২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাদমান-তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং : নিউজিল্যান্ডে দারুণ অবস্থায় বাংলাদেশ

তামিম ইকবাল - সংগৃহীত

শাদমান ইসলাম আর তামিম ইকবালের দারুণ ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ দল। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত করেছ ১ উইকেটে ১১৩ রান। শাদমান ৬২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তিনি ১০২ বলে ৯টি চারের সাহায্যে এই স্কোর করেন। আর তামিম ৮৩ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নিয়েছেন।

২৮ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে প্রথম টেস্ট শুরু হবে। এর আগে এটিই বাংলাদেশের একামাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হচ্ছেন : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহীম, মেহেদি হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জাভেদ, শাদমান ইসলাম, খালেদ আহমেদ, নাইম হাসান, ইবাদত হোসেন, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান।

পারফরম্যান্সে ফেরার লড়াইয়ে ক্রিকেটাররা
ক্রীড়া প্রতিবেদক

কতটা বদলে দিতে পারবেন তারা নিজেদের! সামনেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টেস্ট সিরিজে নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারবেন ক্রিকেটাররা, এটা এখন অনেক বড় প্রশ্ন। ওয়ানডে সিরিজের গল্পটা সামনে আসত না যদি ব্যাটিং ঠিক থাকত। তিন ম্যাচে যে দলটি আড়াই শ’ পার হতে পারেনি। তাদের সামনে টেস্টে কী ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে? তবে এটা ঠিক নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে সর্বশেষ আসরেও ভালো করার নজির রয়েছে। তাই বলে ড্র বা জয় আসেনি। অধরা এখনে ওয়ানডের মতো টেস্টেও। 

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হ্যামিল্টনে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ওই সিরিজের আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে এখন টিম বাংলাদেশ। আজ ভোর রাত ৪টা থেকেই লিঙ্কনে শুরু হয়েছে খেলা। এ ম্যাচের গুরুত্বটা ভীষণ। ওয়ানডে সিরিজের আগে অনেকেই খেলতে পারেননি সে প্রাকটিস ম্যাচ। অনেকটা এলেমেলো হয়েই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিলন তারা। কিন্তু টেস্টের হিসেবটা ভিন্ন। ফলে কিভাবে অ্যাডজাস্ট হতে হবে সেটা অবশ্য তাদের ইতোমধ্যে জানা হয়ে গেছে। ওয়ানডে স্কোয়াড খেলে কিছু খেলোয়াড় ফিরে গেছেন। তবে অতি সতর্কতার জন্য সৌম্য সরকারকে রেখে দেয়া হয়েছে স্কোয়াডে। কিছু যদি করতে পারেন সেটাই ভরসা। বিপিএলের টি-২০ খেলে ওয়ানডে সিরিজ। এবার টেস্ট ম্যাচ। কতটা ভালো করতে পারবেন সেটাও দেখার বিষয়। আর এ প্রস্তুতি ম্যাচের মাধ্যমেই তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। প্রস্তুতি ম্যাচ তো প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ের সংখ্যা সেভাবে নিরুপণ করা হয়না। 
তবু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে যেন ফোকাসটা থাকছে। সেটা ওয়ানডেতে বাজে পারফরম্যান্সের দরুণই। দেশের বাইরে ভালো ম্যাচ খেলার নজির নেই মুশফিক-সাকিবদের। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলে তারা ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। কিন্তু তাতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয় ছিল। তাও ওয়ানডে সিরিজে জিতে সে ব্যর্থতায় কিছুটা হলেও প্রলেপ দেয়া গেছে। কিন্তু আবারো টেস্ট সিরিজে যদি অমন কিছু নেমে আসে তাহলে পুরনো প্রশ্নগুলো আবারো বিব্রত তৈরি করবে। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজে হেরে আসার পর দেশেও প্রথম টেস্ট ম্যাচে বাজে ক্রিকেট খেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সিলেটে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচেও চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখিয়ে হেরেছিল বাংলাদেশ। এ রিপোর্ট যখন দর্শকদের হাতে ততক্ষণে ম্যাচের অনেক খানি হয়ে গেছে। দুই দিনের ম্যাচের আজ প্রথম দিন। এ ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের এক্সট্রা কেয়ার তো অবশ্যই রয়েছে। কারণ, নিজ থেকে কোনো খেলোয়াড়ই চাইবেন না তারা হেরে যাক। নিজের পারফরম্যান্স খারাপ করেও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবেন না তারা। ফলে ভালো পারফরম্যান্সের চেষ্টা থাকবে। তবে ওয়ানডে সিরিজ বলেই নয়; সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের আলোকে বলতেই হচ্ছেÑ ব্যাটসম্যানদের রান করতেই হবে। প্রয়োজনীয় রান না করতে পারলে যেমনটা আত্মবিশ্বাস বাড়বে না। তেমনি দলের লড়াইটাও হবে না সেভাবেই। হোক না প্রস্তুতি ম্যাচ, এ ম্যাচে মূল টার্গেট আত্মবিশ্বাসটা ফেরানোর পারফরম্যান্স করা। তামিম কোনোদিনই ভাবেন না তিনি রান পাবেন না। লিটন, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা অবশ্যই রান করার আক্ষেপে ছটফট করছেন। 

সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তাদের ওপর যে অনেক দ্বায়িত্ব। সেটা যদি তারা না করতে পারেন, তাহলে মুখ দেখান তারা কিভাবে। সবারই একটা সার্কেল আছে। সে সার্কেলের কথাও চিন্তা করবেন তারা এটাই স্বাভাবিক। তবে এটা ঠিক, টেস্ট ম্যাচ। অফুরন্ত সময়। দেখে শুনে খেলা যায়। এখন ওই মেজাজটা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এ দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সেটা আনতে পারলেই হলো!


আরো সংবাদ



premium cement