২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গেইলের সেঞ্চুরির জবাবে দুই শতকে রেকর্ড জয়

সেঞ্চুরির পর জেসন রয় - ছবি : সংগৃহীত

ওয়ানডেতে জিততে কত লাগে? তিনশ রান করতে পারলে মোটামুটি একটা স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলাই যায়। সেখানে গেইলের সেঞ্চুরিতে ৩৬০ করেছিল উইন্ডিজরা। কিন্তু বিপক্ষ দল যদি দ্বিগুণহারে তার জবাব দিতে শুরু করে, তাহলে এ স্কোরও কম হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ছয় উইকেটে জিতে সে প্রমাণ দিয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার ব্রিজটাউনে দিবারাত্রির ম্যাচে স্বাগতিক ক্যারিবিয়ানরা খেলতে নেমেছিলেন সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জেতার মতো একটি টোটাল সংগ্রহ করে তারা। গেইলের ১৩৫-এর মধ্যে ছয়ের মার ছিল ১২টি। এছাড়া চারের মার ছিল তিনটি। গেইলের সেঞ্চুরিটা অবশ্য হতো না জেসন রয় তার ক্যাচটা না ফেললে।

এছাড়া হোপ করেন হাফ সেঞ্চুরি (৬৪)। এ দুজনের ওপর ভর করেই মূলত উইন্ডিজ দল আট উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের ৩৬১ রানের টার্গেট দেয়। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও স্টোকস তিনটি করে এবং ওকস দুটি উইকেট লাভ করেন।

কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের খেলা যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই যেন শুরু করেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। শুরু থেকেই মেরে খেলতে থাকেন তিনি। পরে যখন তিনি ১২৩ রানে আউট হন তখন দল দুই উইকেট খরচে ২৭ ওভারে দুইশ পেরিয়ে গেছে। জেসন রয় ১৫টি চার ও তিনটি ছয়ে এ রান করেন।

রয়ের পর সেঞ্চুরি করেন জো রুটও। ৯৭ বলে তিনি ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ইংলিশরা। ছয় উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা। বিফলে যায় গেইলের সেঞ্চুরি।

একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে রান তাড়া করে জেতার তালিকায় এ জয় থাকল তিন নম্বরে। এর আগে ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নয় উইকেটে ৪৩৮ রান তুলে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ডারবানে আবারো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে ৩৭২ তুলে জেতে।

তারপরেই রুটদের এই জয়। তবে ইংল্যান্ডের একদিনের ইতিহাসে এটাই রান তাড়া করে পাওয়া সবচেয়ে বড় জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও রান তাড়া করে এটি বৃহত্তম জয়। এই জয় বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডকে আত্মবিশ্বাস জোগানোর পাশাপাশি ফেভারিট হিসেবেও চিহ্নিত করছে।

জেসন রয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৬৫ বলে। যা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এই ফরম্যাটে দ্রুততম সেঞ্চুরি। ওপেনিংয়ে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৯১ রান যোগ করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে তিনি যোগ করেন ১১৪ রান। ম্যাচের শুরুতে গেলের ক্যাচ ফেলেছিলেন তিনি। তারই প্রায়শ্চিত্ত করে গেলেন ম্যাচ-জেতানো শতরানে। ম্যাচসেরাও হন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement