২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘এক প্রজন্মের সর্ববৃহৎ বছর’ শুরু করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড

-

২০১৯ সাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে ‘এক প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য সর্ববৃহৎ বছর’ শুরু করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড দল। বছরটি দেশটির জন্য এ জন্যই ‘সর্ব বৃহৎ বছর’ যে আগামী মে মাসে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুরু হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। রয়েছে নিজ মাঠে অ্যাশেজ সিরিজ। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে কখনোই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ইংলিশরা। এমন গুরুত্বপূর্ণ বছরটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে শুরু করছে ইংল্যান্ড। আসন্ন ক্যারিবীয় সফরে তিনটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলবে ইংলিশরা।

সর্বোচ্চ পঞ্চমবারের মত আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। আগের চারবারের কোনটিতেই শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি ইংলিশরা। এরমধ্যে একবার ফাইনালে উঠলেও রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইংল্যান্ডকে। সেটি ১৯৭৯ সালে। তবে নিজ দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে দুইবার ফাইনাল খেলে ইংল্যান্ড। কিন্তু শিরোপা বঞ্চিত হয় তারা।

তবে এবার শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বুক বেঁধেছে ইংল্যান্ড। নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধার সাথে এই প্রজন্মের দল নিয়ে বেশ আশাবাদি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন। এছাড়া গেল বছর ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ নিয়েছে ইংল্যান্ডই। তবে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য একদিনের ও টেস্ট ফরম্যাটে মনোযোগ বজায় রাখা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের। তিনি বিশ্বাস করেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এই প্রজন্ম তাদের প্রমাণ করতে পারে।’

টেস্ট সিরিজ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শুরু করবে ইংল্যান্ড। ব্রিজ টাউনে আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। তার আগে দু’দিনের দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলতে হবে ইংলিশদের।

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয়স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। তবে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। গেল বছর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলেছে ইংল্যান্ড। যার ফল হিসেবে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান দখল করে দলটি। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যবধান বিস্তর। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান অষ্টম, ওয়ানডেতে নবম।

গত বছর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারলেও, দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। তাই সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফেভারিট ইংল্যান্ডই।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ইংল্যান্ডের পারফরমেন্স মোটেও ভালো নয়। ৬৮ টেস্ট খেলে মাত্র ১৪টি ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা। এছাড়া মাত্র তিনবার ১৯৬০, ১৯৬৮ ও ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পেরেছে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০০৪ সালে মাইকেল ভনের নেতৃত্বে ক্যারিবীয় দ্বীপে চার ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিলো ইংল্যান্ড। তবে সর্বশেষ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১এ ড্র করে ইংলিশরা।
তবে আসন্ন সফরে ইংল্যান্ডের চিন্তার আরও একটি কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্তবর্তীকালীন কোচ রিচার্ড পাইবাস। ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া পাইবাস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাবেক কোচ ছিলেন। ইংল্যান্ড সর্ম্পকে ভালো ধারনা রয়েছে তারা।

২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। তাই চলমান বছরের বিশ্বকাপকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ডিরেক্টর এন্ড্রু স্ট্রস। সীমিত ওভার ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

চলমান বছরটি ইংল্যান্ডের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক মাইকেল আর্থারটনও। তিনি বলেন, ‘এ বছর ইংল্যান্ডের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সাথে অ্যাশেজ সিরিজ রয়েছে তাদের। নারীদেরও অ্যাশেজ রয়েছে। তবে এখন ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি ভাবা উচিত ইংল্যান্ডের।’


আরো সংবাদ



premium cement