২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

মোসাদ্দেক হোসেন ৭৪ বলে অপরাজিত ৮৫ রান করেন - ফাইল ছবি

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। রোববার টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের সেমির পথ সহজ হয়ে যায়।

কিন্তু ওই ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাত জয় পেলে সেক্ষেত্রে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারাই সেমিতে পৌঁছাতো। তখন পাকিস্তানের সাথে সমান ৪ পয়েন্ট হতো বাংলাদেশের। সেখানে রান রেটে পিছিয়ে থাকায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হতো বাংলাদেশকে।

পাকিস্তানের করাচিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেই দুই ওপেনার। মিজানুর রহমান ও জাকির হাসান দলকে ৪৮ রান এনে দেন। ২৫ রান করে মিজানুর ফিরলেও হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন জাকির। ৬৯ বলে ৮টি চারে ৬৯ রান করেন তিনি।

এরপর মিডল-অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত’র ৪৯, মোসাদ্দেক হোসেনের ৭৪ বলে অপরাজিত ৮৫ ও ইয়াসির আলির ৪৬ বলে ৫৬ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

জবাবে বাংলাদেশে বোলারদের নৈপুণ্যে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ২৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন ওপেনার জিসান মালিক ও অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন তারা।
কিন্তু ১১৯ রানের মধ্যে মালিক ও রিজওয়ানের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। এরপর আর বাংলাদেশের বোলারদের সামনে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি পাকিস্তানের পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা।

তবে এক প্রান্ত আগলে কুশদিল শাহ বাংলাদেশের চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিলেন। কিন্তু নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান তিনিও। তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পরই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। ৫৮ বলে ৬১ রান করেন কুশদিল। বাংলাদেশের নাইম হাসান ৩টি, শফিউল ইসলাম-মোসাদ্দেক হোসেন ২টি, শরিফুল ইসলাম-তানভীর ইসলাম-আফিফ হোসেন ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের মোসাদ্দেক হোসেন।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর সেমিফাইনাল খেলতে নামবে বাংলাদেশ।


আরো সংবাদ



premium cement